খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়ছেই

# একদিনে ভর্তি ৮৬ : মৃত্যু ১
# এ পর্যন্ত মোট ভর্তি ২৩৭৮, মৃত্যু ৮
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা বিভাগে নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৮৬ জন। এ সময়ে ঝিনাইদহ জেলায় এক ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। চলতি বছরের গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত খুলনা বিভাগে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৮৬ জন এবং মৃত্যু হয় একজনের। খুলনা বিভাগীয় (স্বাস্থ্য) পরিচালক দপ্তরের সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ওই সূত্র মতে. রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ৯ জেলায় এবং দুই সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিলে নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৮৬ জন। এ সময়ে ঝিনাইদহ জেলায় একজন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা বিভাগের মধ্যে খুলনায় ২৪ জন, ঝিনাইদহ ১০ জন, মাগুরায় ৪ জন, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করে, যশোর ও নড়াইল জেলায় ১১ জন করে, মেহেরপুরে ৬ জন এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৭ জন ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগের ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৩৭৮ জন এবং মোট মৃত্যু হয় ৮ জনের। এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ১৬৯ জন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২১০ জন।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৭ জন। এ সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন ৩৮ জন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ২৭৩ জন। মৃত্যু হয় মোট ৫ জনের।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র মতে, গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা জেনারেল হাসপাতালে নতুন করে ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এছাড়া রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় দুইজন। এ পর্যন্ত খুলনার এক সরকারি হাসপাতাল ও দুই বেসরকারি হাসপাতালসহ ৯ উপজেলায় মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৬২২ জন। এর মধ্যে পাইকগাছায় ৫ জন, দাকোপে ২ জন, বটিয়াঘাটায় ১৭ জন, ডুমুরিয়ায় ৪ জন, রূপসায় ১১৫ জন, তেরখাদায় ২ জন, দিঘলিয়ায় ১২ জন, ফুলতলায় ১২ জন, খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১৯৮ জন এবং বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ জন ও সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়। এ পর্যন্ত সুুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৯১ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৩১ জন। এ সময়ের মধ্যে কোন মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।