আজ খালিশপুর ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন
# টাকা দিয়ে ভোট ক্রয়ের অভিযোগ #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ আজ রবিবার খালিশপুর থানা ৭নং ওয়ার্ড (কুয়েত নগরী) বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ডে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। পাশাপাশি একটি চক্র টাকা দিয়ে ভোট কিনছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সভাপতি পদে তিন জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তারা হলেন ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব রিয়াজ শাহেদ, যুগ্ম আহবায়ক লিটন খান ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী আঃ লতিফ। বিগত দিনে প্রথম দু’জনই একই গ্রুপে ছিলেন। কিন্তু সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দু’জন আজ এক অপরের প্রতিদ্বন্দ্বি হয়েছেন। আর সাঃ সম্পাদক পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, জাকির হোসেন, মুশফিকুর রহমান ইলিয়াস, শেখ সাদী ও শেখ তুহিন। সভাপতি প্রার্থী আহবায়ক আলহাজ্ব রিয়াজ শাহেদ বলেন, ভোটের মাধ্যমেই সম্মেলন হবে। তবে বিগত দিনে সুবিধা ভোগীদের ব্যাপারে ভোটাররা সর্তক থাকবেন। এই সুবিধা ভোগীরা আ’লীগের সাথে মিলেমিশে চলেছে। তবে টাকা দিয়ে ভোট ক্রয়ের কোন প্রশ্নই আসে না বলে তিনি জানান। আরেক সভাপতি প্রার্থী লিটন খান বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে সম্মেলন হবে। ভোটের মাধ্যমেই নেতা নির্বাচিত হবে-এমনটাই তার আশা। সাঃ সম্পাদক প্রার্থী জাকির হোসেন বলেন, তিনি দীর্ঘ দিন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। আহবায়ক কমিটির সদস্যরা বেশীর ভাগই একটি গ্রুপের লোক। একজন ম্যানেজার, বিদেশে ছিলেন ১৫ বছর। দেশে এসেই আহবায়ক কমিটির সদস্য হয়েছেন ভাই-বোন দু’জনই। এভাবেই আহবায়ক কমিটি অনেকটা পকেট কমিটিতে পরিণত হয়েছে। এজন্য নির্বাচনে জিততে হলে কস্ট করতে হবে। তবে টাকা দিয়ে ভোট কেনার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, অন্য প্রার্থীরা টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন। আরেক সাঃ সম্পাদক প্রার্থী ইলিয়াস বলেন, মহানগর বিএনপির সিদ্ধান্তের কারণে কর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণে আগামীতে এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে প্রভাব পড়বে বলে তিনি জানান। ওয়ার্ডে ভোটার হচ্ছেন ৩১ জন। এই ভোটাররাই নেতা নির্বাচন করবেন- এমনটাই আশা করছেন সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী হৃদয় হাশেম আসমত। তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে আসছি। সেই আন্দোলনকারীদেরই সম্মেলন। এখন ভোটের কোন বিকল্প ভাবতে পারছি না। সাধারণ ভোটার মাহবুব আলম বাদশা বলেন, এ ওয়াডটি খুলনার মধ্যে সবচেয়ে সম্পদশালী ওয়ার্ড। তিনিটি তেলের ডিপো এ ওয়ার্ডে। তেলের ব্যবসা করে অধিকাংশ নেতা-কর্মী অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। এ জন্য এ ওয়ার্ডকে অনেকে কুয়েত নগরীর সাথে তুলনা করে থাকে।