ভিকারুননিসায় শর্তসাপেক্ষে ১০ সহোদরকে ভর্তির নির্দেশ

প্রবাহ রিপোর্ট : সংরক্ষিত কোটা পূরণ না হলে প্রথম শ্রেণিতে ১০ সহোদরদের ভর্তি নিতে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ভর্তিচ্ছু শিশুদের অভিভাবকদের করা এক রিটে প্রাথমিক শুনানির পর গতকাল সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান। গত বছর ২৩ অক্টোবর প্রণীত ‘বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজে (মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্ত প্রাথমিক স্তর) শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা’ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এই ১০ সহোদর-সহোদরা ভিকারুননিসার বিভিন্ন শাখায় প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করে। লটারির মাধ্যমে নির্ধারিত ফলাফলে তাদের অপেক্ষমাণ ভর্তিচ্ছুদের তালিকায় রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে এই ১০ শিশুর অভিভাবকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের কাছে আবেদন করেও সাড়া পাননি। এ অবস্থায় ভর্তি নীতিমালা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন অভিভাবকরা। প্রাথমিক শুনানির পর আদালত রুলসহ আদেশ দিয়েছেন। সংরক্ষিত কোটা পূরণ না হলে ভিকারুননিসার বসুন্ধরা, ধানমন্ডি, আজিমপুরসহ মূল শাখায় এই ১০ শিশুকে ভর্তি নিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান এ আইনজীবী। বেসরকারি স্কুল, স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালায় ২০২২ সালে সংশোধন আনে সরকার। সংশোধনের আগে বেসরকারি স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করছে এমন শিক্ষার্থীর সহোদর, সহোদরা বা জমজ ভাই-বোনরা যদি একই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আবেদন করে, তবে যাচাই-বাছাই কমিটিকে তাদের ভর্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা ছিল। সংশোধন আনার পর সহোদর, সহোদরা বা জমজ ভাই-বোনদের ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়।এ অবস্থায় গত বছর অসংখ্য সহোদর-সহোদরা ভিকারুননিসায় আবেদন করে ভর্তি হতে না পেরে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে। হাইকোর্ট একাধিক আদেশে তাদের ভর্তি নিতে নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগে গেলে সেখানেও হাইকোর্টের রায় আদেশ বহাল থাকে।