জাতীয় সংবাদ

স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার: ৯০ দিনের কাউন্টডাউন শুরু

প্রবাহ রিপোর্টঃ ৯০ দিনের মধ্যে দেশের ভঙ্গুর স্বাস্থ্যখাতকে জনমুখী করার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ৯০ দিনের কাউন্টডাউন শুরু হচ্ছে শনিবার (১৭ আগস্ট) থেকেই। বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে আহতদের পরিদর্শন শেষে তারা এ দাবি জানান।এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আন্দোলনে হতাহতদের যেসব হাসপাতাল চিকিৎসা দেওয়ার নামে নৈরাজ্য করেছে, লুটপাট করেছে তাদের সেসব ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আহতদের চিকিৎসায় স্পেশালাইজড ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিট খোলার দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা।সরকারি হাসপাতালে গাদাগাদি না করে রাষ্ট্রীয় খরচে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানান তারা। প্রয়োজনে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা ফি মওকুফে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান তাদের।গত সরকারের আমলে বিভিন্ন চাপে স্বাস্থখাতে পরিবর্তন আনা যায়নি উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ খাতকে জনমূখী করা হবে, সেই সাথে নিশ্চিত করা হবে ন্যাশনাল ইনসুরেন্স সেবায়াও।’বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস বলেন, ‘স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীরা রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। হাসপাতালগুলোতে শয্যার বিপরীতে দ্বিগুণ রোগী রয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে শয্যা সংকট থাকলে আহতদের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দিতে হবে। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলো আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে চিকিৎসার নামে লাখ লাখ টাকা আদায় করেছে। এসব টাকা ফেরত দিতে হবে।’বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘স্বাস্থ্যের এডিজি এবং ঢাকা মেডিকেলের পরিচালকের সঙ্গে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। উনারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যদি লাল ফিতার দৌরাত্ব না থাকে, টেন্ডারবাজি না থাকে, রাজৈনতিক আধিপত্য না থাকে তাহলে ৯০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতকে জনমুখী করা সম্ভব। আমরা তাদের আশ্বস্ত করতে চাই, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আপনাদের সব ধরনের সহায়তা আমরা আপনাদেরকে দেব। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, স্বৈরতান্ত্রিক মাফিয়া ব্যবস্থা ছিল স্বাস্থ্যখাতে, তা কখনোই থাকবে না এবং ছাত্র-জনতা সেই কফিনে পেরেক মেরে দিয়েছে।’স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে এই দেশে চিকিৎসা করতে হবে এবং সেই ব্যবস্থায় এ দেশের জনগণ চায়। অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন, অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে।’

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button