প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিমসটেক মহাসচিবের সাক্ষাৎ

প্রবাহ রিপোর্ট : আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের পর বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ। সাত জাতিগোষ্ঠীর এ কার্যক্রমে প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্ব নতুন প্রাণসঞ্চার করবে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিমসটেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পান্ডে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে গতকাল সোমবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক সাক্ষাতে এ কথা বলেন বিমসটেক মহাসচিব। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়। মহাসচিব বিমসটেকের কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করে বলেন যে সদস্য দেশগুলো এটিকে একটি শীর্ষ সক্রিয় আঞ্চলিক ফোরামে রূপান্তর করার চেষ্টা করছে। পান্ডে বলেন, আমরা এটিকে কার্যকরিভাবে আরও সক্রিয় সংগঠনে পরিণত করার জন্য প্রস্তুত হয়েছি। আপনার নেতৃত্বে আমরা অনেক ক্ষেত্রে অগ্রগতি করতে সক্ষম হবো, তিনি বলেন। থাইল্যান্ড সেপ্টেম্বরে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন করবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তা স্থগিত করা হয়েছে এবং পরে তা পুনঃনির্ধারণ করা হবে। রাষ্ট্রদূত পান্ডে বলেছেন যে গ্রুপটি বছরে তিনটি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরু করেছে এবং সামুদ্রিক পরিবহন এবং শক্তি সহযোগিতাসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তিনি বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনও গ্রুপের প্রধান অগ্রাধিকার ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রফেসর ইউনূস বলেন, দলটির উচিত যুব, পরিবেশ ও জলবায়ু সংকটের বিষয়ে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া। তিনি জুলাই-আগস্ট মাসে সফল বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশি তরুণদের অর্জনের কথা তুলে ধরেন। “তারা ভবিষ্যৎ” উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা শিগগিরই তরুণদের জন্য একটি উৎসবের আয়োজন করবে এবং তিনি আশা করেন যে সাতটি দেশের প্রত্যেকটি তরুণদের বাংলাদেশের রাজধানীতে উৎসবে যোগ দিতে পাঠাবে। রাষ্ট্রদূত পান্ডে ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি বিজয়ী দ্বারা শুরু করা থ্রি জিরো আন্দোলনের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, নারীকেন্দ্রিক উন্নয়নও বিমসটেকের প্রধান অগ্রাধিকার। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিমসটেক দেশগুলোর মধ্যে শুধু নেপালেই ৭০০টিরও বেশি থ্রি জিরো ক্লাব রয়েছে এবং অন্তত আটটি ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক ব্যবসা কেন্দ্র স্থাপন করেছে।