খেলাধুলা

দৌড় প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রইলেন যারা

স্পোর্টস ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ক্ষনিকের জন্য যেন দেখা মিলল উসাইন বোল্টের! বিখ্যাত উদযাপনে জ্যামাইকান কিংবদন্তিকে আসলে মনে করিয়ে দিলেন নাহিদ রানা। নাহিদের কথা শুরুতেই বলার কারণ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের নিয়ে বিসিবির বিশেষ ফিজিক্যাল অ্যাসেসমেন্টের দৌড় প্রতিযোগিতায় দুই গ্রুপের একটিতে প্রথম হয়েছেন এই তরুণ ফাস্ট বোলার। সবার আগে দৌড় শেষ করে উদযাপনে নাহিদ যখন উসাইন বোল্টকে স্মরণ করিয়ে দিতে ব্যস্ত, পাশেই করতালিতে তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাঈম হাসানের মতো সিনিয়র সতীর্থরা। দেশের ক্রিকেটের অনেক স্মরণীয় ঘটনার সাক্ষী বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ২০০৫ সালের পর কোনো ক্রিকেটীয় কার্যক্রম দেখা গেল। যদিও সেটা ব্যাট-বলের লড়াই ছিল না। বাংলাদেশ দলের নতুন স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলির অধীনে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরখ করাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে ক্রিকেটারদের রানিং পর্যবেক্ষণ করেন কেলি। দুই ভাগে ভাগ হয়ে ১৬০০ মিটার দৌড়ান নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরা। দুই গ্রুপ থেকে দৌড়ে সেরা হয়েছেন দুই পেসার। নাহিদের কথা তো বলা হলোই, আরেক গ্রুপে সবার আগে দৌড় শেষ করেন তানজিম হাসান সাকিব। দুই গ্রুপে মোট ৩৫ ক্রিকেটার ছিলেন। সবচেয়ে সিনিয়র মাহমুদ দৌড় শেষ করেন সবার শেষে। জাতীয় দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে হওয়া এই দৌড় প্রতিযোগিতায় ভিন্ন ভিন্ন কারণে ছিলেন না সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, তাসকিন আহমেদ, সৌম্য সরকার ও তাইজুল ইসলাম। মূলত চলতি বছর ব্যস্ত সূচির কথা মাথায় রেখেই খেলোয়াড়দের ফিটনেসের অবস্থা পরীক্ষা করা হয়েছে। আগামী ৭ মাসে বাংলাদেশ দল ৮ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে এবং অন্তত ১৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। ফিটনেস সেশনে শেষে ট্রেনার ইফতেখার ইসলাম ইফতি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এই পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝলাম খেলোয়াড়দের অবস্থা কেমন। এটার মধ্যে পাশ-ফেলের কিছু নেই। ডিপিএল গিয়েছে, বিপিএল গিয়েছে। এরপরে ওদের ফিটনেসের অবস্থা কি সেটা জানার জন্য (এই উদ্যোগ)। এটা জানার পর খেলোয়াড়দের কাকে কি অনুশীলন করাতে হবে এটা খুঁজে বের করব। ওদের জানিয়ে দেব, ওভাবে আমরা প্রয়োগ করব।’ এই কার্যক্রমের জন্য অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন ইফতি, ‘অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক বেছে নেওয়া আসলে টাইমিংয়ের একটা বিষয় আছে। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণ করি তাহলে বেশ কিছু টেস্টিং মেথড আছে, আমরা আজ ১৬শ মিটার টাইম ট্রায়াল নিলাম। অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে যদি নেই আমরা তাহলে প্রপার টাইমিংটা…কারণ ওইভাবেই ক্যালকুলেট করা হয়। এটা ওদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ১৬শ মিটার নিয়েছি, তাদের কার্ডিও ভাস্কুলার সিষ্টেম কীভাবে কাজ করে, ক্যাপাসিটি কেমন…স্প্রিন্ট টেস্ট নিলাম তারা কত দ্রুত দৌড়াতে পারে এটা দেখতে। ৪০ মিটার স্প্রিন্ট যেটা ছিল, আমরা দেখেছি প্রথম ২০ মিটারে কে কতটুকু গতিময়। সাধারণত এক-দুই মিটারের জন্য একটা রান আউট হয় বা এক-দুই সেন্টিমিটারের জন্য আমরা একটা চার বাঁচাতে পারি না।’

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button