মোরেলগঞ্জে মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে আদায়কৃত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ অপরাধ,অনিয়ম ও দুর্নীতিতে আলোচিত বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে আদায় করা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি সহ দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার পি কে মোহসিনা সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ শিহাব উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২ ডিসেম্বর বাগেরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাটিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় আসামী করা হয় মাদ্রাসার সাবেক সভাপদি ডা: তৈয়াবুর রহমান সেলিম ও তার সহযোগি আকরামুজ্জামান হাওলাদার কে। ওই মামলা সূত্রে প্রকাশ, মোরেলগঞ্জে উপজেলার পি কে মোহসিনা সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ডা: তৈয়াবুর রহমান সেলিম সভাপতি হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে মাদ্রাসার আরভী প্রভাষক খায়রুল বাসারের নিকট থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, প্রভাষক জাকির হোসেনের ৩ লক্ষ টাকা, মনিশংঙ্কর চক্রবর্তীর ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ও সহকারী মৌলভি নজরুল ইসলামের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আদায় করেন। মাদ্রাসা উন্নয়নের জন্য আদায় করা ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনিয়মের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন সভাপতি। এ ছাড়াও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দিয়ে অধ্যক্ষের পদ হইতে তাকে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত মামলা হইতে খালাস পেয়ে অধ্যক্ষ সিহাব উদ্দিন সভাপতি ডা: তৈয়াবুর রহমান সেলিমের কাছে স্বপদে পুন বহলের জন্য বলিলে সে ক্ষিপ্ত হইয়া পূনঃবহাল করিতে রাজি না হয়ে অধ্যক্ষকে চাকুরী ছেড়ে দিতে বলেন। চাকুরী ছাড়ার ভয় দেখিয়ে অধ্যক্ষের নিকট থেকে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করিলে অধ্যক্ষকে হাত পা ভেঙ্গে ফেলে দিবে বলে লাগাতার হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে চাকুরীতে পূনবহলের জন্য তার কথা মতো অধ্যক্ষের স্ত্রী মোসা: সাহানাজ পারভীন কে ২০১৫ সালের ৩০ জুন নগদ ৩ লক্ষ টাকা মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ডা: তৈয়াবুর রহামন সেলিম এর বাড়ীতে বসে তার হাতে তুলে দেন। আরো ২ লক্ষ টাকা দাবী করেন। বাকী ২ লাখ টাকা দিতে না পারায় ২০১৫ সালের ৪ জুলাই বেলা ১১ টার দিকে আসামী ডা: তৈয়াবুর রহমান সেলিম ও তার সহযোগি আকরামুজ্জামান হাওলাদার সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন আমাদের বেধড়ক মারপিট করে। তৎকালীন সময়ে এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিতে পারিনাই। তাই এখন সুযোগ এসেছে বলে আদালতে মামলাটি করেছি। এ বিষয়ে মামলার আসামী সাবেক সভাপতি ডা: তৈয়াবুর রহমান সেলিম সংবাদ কর্মীদের বলেন আমি ২০১৫সালে সভাপতি থাকা কালিন তার কাগজ পত্রে ত্রুটি থাকার কারনে তার নামে মামলা হয়েছে। আমার পূর্বের সভাপতি মাহাবুুবুর রহমান তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে ছিলেন। এখন যে মামলাটি করেছেন তা সম্পুর্ন উদ্দেশ্যমুলক।