রাজধানীতে বৃষ্টি হলেই ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী! সমাধান করুন
রাজধানীতে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি অনেক পুরোনো। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নাগরিকদের জলাবদ্ধতায় চলাফেরা করাও সয়ে গেছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এই জলাবদ্ধতায় নাগরিকদের ভোগান্তি আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এছাড়াও নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে দুই সিটির নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগও কাজে আসছে না। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গত ২৭ মে ভোররাত থেকে রাজধানীতে ঝড়ো হাওয়াসহ প্রবল বৃষ্টির কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। সকাল থেকে বৃষ্টির মাত্রা বাড়তে শুরু করে। রাত অবধি বিরতিহীনভাবে চলতে থাকে বৃষ্টি। তুমুল বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতার কারণে সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও রিকশার ভাড়া হয়ে যায় দ্বিগুণ, কোথাও তিনগুণ। কাঁচাবাজারেও জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। রাজধানীর প্রায় প্রত্যেকটা জায়গায় সড়কের আশপাশের অলিগলিতে পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। মিরপুরে মেট্রোরেল নির্মাণের সময় টানা পাঁচটি বছর তারা দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। মেট্রোরেল চালুর পর ঝকঝকে রাস্তা হলেও, জলাবদ্ধতার দুর্ভোগটা রয়েই গেছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নগরে জলাবদ্ধতা নিরসনে এবার আগে থেকেই কাজ শুরু করেছে সংস্থা দুটি। ড্রেন, নালা, খাল পরিষ্কারে কাজ চলছে। যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা বেশি হয়, তা সমাধানে পৃথক প্রকল্প নিচ্ছে সংস্থা দুটি। কিন্তু বাস্তবতা বলছে জলাবদ্ধতা নিরসনে ওয়াসার খাল ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হলেও তাদের জনবল ও সক্ষমতা না থাকায় রাজধানীতে জলাবদ্ধতা কাটছে না। রাজধানীবাসীর ভোগান্তির কথা চিন্তা করে বিগত বছর থেকে বয়ে আসা উক্ত সমস্যাটি সমাধান করা দরকার। জলাবদ্ধতা যেসব কারণে হয়ে থাকে তা চিহ্নিত করে এর সমাধান বাস্তবায়ন করা হোক। সরকারকে উক্ত বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। তাহলেই নগরবাসীর মাজে স্বস্তি মিলবে।