ইসরায়েলি বাহিনীর রাফা থেকে দুই জিম্মিকে মুক্ত করার দাবি
প্রবাহ ডেস্ক : ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় অভিযান চালিয়ে দুই ইসরায়েলি পুরুষ জিম্মিকে মুক্ত করা হয়েছে বলে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে। রোববার দিবাগত রাতে ইসরায়েলি বাহিনী মিশরের সীমান্ত সংলগ্ন ফিলিস্তিনি শহরটিতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে আর তাতে ৩৭ জন নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সোমবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিশেষ বাহিনীগুলো রাফার একটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই জিম্মিকে মুক্ত করেছে। রাতে চালানো এই যৌথ অভিযানে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত ও বিশেষ পুলিশ বাহিনীর কমান্ডোরা অংশ নেয়। উদ্ধার পাওয়া জিম্মিরা হলেন ফার্নান্দো সাইমন মারমান (৬০) ও লুইস হেয়ার (৭০)। গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালানোর সময় কিব্বুতজ নির ইয়েরজাক এলাকা থেকে এ দুইজনকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি ছিলেন তারা। উদ্ধারের পর তাদের ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলের তেল হাশোমার মেডিকেল কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উদ্ধার পাওয়া জিম্মিরা ‘ভালো অবস্থায়’ আছেন। হাসপাতালটির চিকিৎসকরা বিবৃতির বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে। আইডিএফ একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে, তাতে রাতে অজ্ঞাত একটি স্থানে একটি হেলিকপ্টারকে নামতে দেখা গেছে। ওই হেলিকপ্টারের মধ্যেই উদ্ধার পাওয়া জিম্মিরা ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, জানিয়েছে বিবিসি। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষমন্ত্রী ইওভ গ্যালান্ট এই উদ্ধার অভিযানকে ‘চিত্তাকর্ষক’ বলে বর্ণনা করেছেন। গ্যালান্ট বলেছেন, “অপহৃতদের ফিরিয়ে আনতে যে কোনোভাবেই হোক আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করবো আমরা।” ইসরায়েলের গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিম্মিদের রাফার একটি ভবনের তৃতীয় তলায় আটকে রাখা হয়েছিল। রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একটি সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হয়েছে। তাতে তিনি জানিয়েছিলেন, গাজায় হামাসের হাতে ১৩২ জন ইসরায়েলি জিম্মি বন্দি আছেন। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়েছিল। এরপর থেকে হামাস শাসিত গাজায় চার মাস ধরে চলা ইসরায়েলের অবিরাম নির্বিচার হামলায় ২৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।