বাজারে ইলিশের সরবরাহ থাকলেও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে
শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ ভারতে রপ্তানি হচ্ছে ইলিশ তাই মাছ বাজারে সরবারাহ কম তাই দাম বেশি। এমনটি বলছে স্থানীয় মাছ ব্যাবসায়িরা। গেল কয়েকদিনের তুলনায় প্রতিদিন দাম বাড়ছে ইলিশের। এ দিকে জেলেদের জালে পর্যাপ্ত ইলিশ ধরা পড়লেও এসব মাছগুলো থাকছে অধরা। এছাড়া সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে চলছে বৃষ্টি আর বৃষ্টি হলে মাছের দাম কমবে এমন আশা ক্রেতাদের থাকলেও সেই চড়া দামে কিনতে হচ্ছে মাছ। প্রথম দিকে সরকারী ভাবে ইলিশ রপ্তানি করা হবেনা বলে জানিয়েছিল মৎস অধিদপ্তর। এরপর বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও রপ্তানির কথা শুনে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। এতে করে ক্ষোভ বিরাজ করছে নি¤œ ও মধ্য আয়ের মানুষের। গতকাল নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে ২শ’ গ্রাম ওজনে ছোট ইলিশ ৬০০ টাকা প্রতি কেজি, ৩শ’ গ্রাম ওজনের মাছ ৭৫০ টাকা থেকে প্রকার ভেদে ৮০০ টাকা কেজি, ৫০০ গ্রাম ওজনের মাছ ৯০০ টাকা থেকে প্রকার ভেদে ১০০০ টাকা কেজি, ৭৫০ গ্রাম বা ৮শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা দরে। এছাড়া কেজি সাইজের ইলিশের দেখা খুবই কম মিলছে আর দেখা গেলেও ২০০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে কথা হয় নগরীর নিউ মার্কেট কাচা বাজার এলাকায় ক্রেতা মোঃ মামুনের সাথে তিনি বলেন, তিনি বলেন, বাজারে ইলিশের দাম চড়া। এখন ভয়ে ইলিশে দাম শুনতে ভয় করে যদি দাম বলেই ফেলি তাহলে পকেটে আর টাকা থাকবেনা। এছাড়া বড় মাছ গুলো দেখলেও দাম করতে লজ্জা লাগে কারণ এত দাম দিয়ে মাছ ক্রয় করার সামর্থ নেই। মূলতঃ ভারতে রপ্তানি হচ্ছে ইলিশ মাছ তাই বলে দাম বেশি এটাকা বড় কথা না। বড় কথা হলো সরকারীভাবে যদি রপ্তানি হয় তিন হাজার টন আর তার থেকে বেশি পাচার করা হয় অন্যপথে। এমনকি নদীর থেকে মাছ চলে যাচ্ছে পানি পথে। বেশি দামের আশায় এসব মাছ চলে যাচ্ছে অন্য জায়গায়। আগে আমাদের নিজেদের ভাল হতে হবে। এছাড়া সামনে ১৩ অক্টোবর হতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। সব মিলিয়ে এবছর আর ইলিশ মাছ কম দামে খাওয়া আশা করছিনা। ছোট সাইজের মাছ ও ৬০০ টাকা । তবে বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বলছে আমরা কয়েকজন মিলে বরগুনা ,বরিশাল হতে আড়ৎ থেকে একসাথে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার মাছ ক্রয় করে ভাগ করে আনছি। তবে মাছের দাম বেশি থাকায় এ সপ্তাহে আর কোন মাছের চালান আনা হয়নি। ইলিশ মাছ রপ্তানির প্রভাব তো আছে। যে কারণে দাম আগের তুলনায় বেশি।