সবজিতে আগুন : মুরগী আলুতে উর্ধ্বগতি

# দাম বৃদ্ধির বিষয়ে যৌক্তিক কারণ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা #
# নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে অজুহাতে বলছেন ক্রেতারা : বাজার মনিটরিংয়ের দাবি #
মোঃ আশিকুর রহমান ঃ নগরীর খুলনার গুরুত্বপূর্ন নিত্যপণ্যের খুচরা বাজারে ক্রেতা নাগালের বাইরে কাঁচা সবজির দাম। এছাড়া মাছ, গরুর মাংস, চাল, তেল, ডাল, পেয়াজ, ডিমের দাম কিছুটা অপরিবর্তীত থাকলে ৮/১০ দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৭০ টাকার ব্রয়লার মুরগী কেজি প্রতি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। ৪/৫ দিনের ব্যবধানে আলু কেজি বেড়েছে ৫ টাকা টাকা বেড়েছে। ৫৫ টাকার আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচা ঝালের দাম। কাঁচা সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ভারীবৃষ্টিপাতের কারণে সবজি নষ্ট ও ক্ষতিসহ চাহিদার তুলনায় কম সরবরাহের কথা বলেছেন। ব্রয়লার মুরগীর দাম বাড়ার কারণ হিসাবে ব্যবসায়ীরা খাবারের দাম ও বাচ্চার দাম বৃদ্ধির কথা কথা বলেছে। আলু দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দৃশ্যমান আলু কোল্ডস্ট্রোরেজ (সংরক্ষনগার)’র। এই আলু ক্রমঃশই কমে আসছে। বর্তমানে আলুর চাহিদা হিসাবে আলুর সরবরাহ কম। সামনে নতুন আলু উঠলে আলুর দাম কমে যাবে বলে জানিয়েছেন তারা। এছাড়া ডিমের দাম অপরিবর্তীত রয়েছে। ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে বন্যা পরিস্থিতির কারণে পোল্ট্রিখাত চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানিতে বহু ডিমের মুরগী মারা গেছে। যে কারণে চাহিদার তুলনায় ডিমের ঘাটতি রয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর (শনিবার) খুলনার গুরুত্বপূর্ণ খুচরা নিত্যপন্যের বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এমনই সব তথ্য।
ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজার ঃ নগরীর ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজার ঘুুরে দেখে গেছে, নিত্য প্রয়োজনী পন্যের মধ্যে চিনি ১৩৫ টাকা, সয়াবিন খুচরা বোতলজাত লিটার প্রতি ১৬৭ টাকা, মুশরী মোটা ১১০ টাকা, চিকন ১৪০ টাকা, ময়দা ৭০ টাকা, আটা ৫০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০টাকা, রসুন ২২০টাকা, আলু ৬০ টাকা, চাল স্বর্ণা ৫০-৫৫ টাকা, বালাম ৬০-৬৫, বাসমতি ৮৫-৮৮, নাজিরশাল ৭৫টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সবজি বাজারে প্রতিকেজি ফুলকপি ১৮০ টাকা, পাতাকপি ৭০-৮০ টাকা, সীম ৩২০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, টমেটো দেশি ২২০টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০-৭০ টাকা, পেপে ৪০ টাকা, কুশি ৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৭০ টাকা, কাকারোল ৯০ টাকা, বেগুন ১৪০-১৫০ টাকা, ঢেড়শ ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, ওল ৮৯-৯০ টাকা, ঝিঙে ৮০-৯০ টাকা, মূলা ৮০ টাকা, কাঁচাঝাল বরজ প্রতিকেজি ৪৪০ টাকা ও এলসি প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন খুচরা সবজি ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান লিটন। গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৬৫০ টাকায় ও খাশির মাংস সাড়ে ১ হাজার টাকা, মুরগী ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৯০ টাকা, সোনালী ২৭০ টাকা, কক ২৮০ টাকা, দেশি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১ কেজির ইলিশ ১২’শ টাকা, ১ কেজি ২’শ গ্রামের ইলিশ ২ হাজার টাকা, দেড় কেজির ইলিশ ২৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পারসে ৮ পিসে কেজি ১০০০ টাকা, পাতাড়ী (২ কেজি ওজন) ৬৫০ টাকা কেজি, গলদা চিংড়ি ৮ পিসে কেজি ১২’শ টাকা, ১০ পিসে কেজি ১১’শ টাকা, ৫ পিসে কেজি ১৪০০ টাকা, রুপচাদা, ১০ পিসে কেজি ১ হাজার টাকা, ৩ পিসে কেজি ১৪’শ টাকা, ২ পিসে কেজি ১৫’শ টাকা, রুই মাঝারী ৩৮০ টাকা কেজি, কাতলা মাঝারী ৩৫০ টাকা কেজি, রুই বড় ৪৫০ টাকা কেজি, কাতলা বড় ৫০০ টাকা কেজি। গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি এবং খাশির মাংস ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিম সাদা (বড়) ১৩ টাকা ও লাল বড় (বড়) টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নিউ মার্কেট কাঁচাবাজার ঃ নগরীর নিউ মার্কেট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু ৬০ টাকা, পেয়াজ ১২০ টাকা, রসুন দেশি ২৩০/২৪০ টাকা, স্বর্ণা মোটা চাল ৪৮-৫০ টাকা, ২৮ বালাম মানভেদে ৫৮-৬৪ টাকা, বাশমতি মানভেদে ৮০-৯৫ টাকা ও নাজিরশাল মানভেদে ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাল ব্যবসায়ী হাসান। সবজি বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ১৬০ টাকা, পাতাকপি ৭০-৮০টাকা, ফুলকপি ২০০ টাকা, ঢেড়শ ৮০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০-৮০ টাকা, কুশি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, টমেটো দেশি ২৬০ টাকা, গাজর ১৮০-২০০টাকা, কাকরোল ১০০ টাকা, বরবটি সীম ১৪০-১৫০ টাকা, কাঁচ কলা হালি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খুচরা সবজি বিক্রেতা মো. জাবেদ। এছাড়া গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় ও খাশির মাংস সাড়ে ১ হাজার টাকা, মুরগী ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৯০ টাকা, কক ২৭০ টাকা, সোনালী ২৬০, দেশি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ বাজারে ইলিশের কেজি ১৯’শ টাকা, ৮০০ গ্রামের ইলিশ প্রতিকেজি ১৬’শ টাকা, ৪ পিসে কেজির ইলিশ ৭’শ টাকা, ৩ পিসে কেজির ইলিশ ৮’শ টাকা, রুই মাঝারী প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, কাতলা মাঝারী প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, শিং বড় কেজি ৬’শ টাকা, পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৮০ টাকা, কেজির উপরে লেয়ার ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
দৌলতপুর খুচরা কাঁচা বাজার ঃ নগরীর দৌলতপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা প্রতি কেজি সয়াবিন তেল প্রতি ১৭০ টাকা, মুসরী ডাল মোটা ১০৫ টাকা , চিকন ১৩০-১৩৫ টাকা, চিনি ১২৬ , আটা প্যাকেট প্রতি কেজি ৪৮ টাকা, ময়দা প্যাকেট ৬৫ টাকা, পেঁয়াজ প্রতিকেজি ১১০ টাকা, রসুন দেশি ২২০ টাকা, আলু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চাল পট্টিতে হিরা মোটা ৪৬ টাকা, স্বর্ণা চিকন ৫০ টাকা, বালাম ২৮ মানভেদে ৪৬-৬০ টাকা, বালাম চিকন মানভেদে ৬২-৬৬ টাকা, বাশবতি মানভেদে ৭৬-৮০ টাকা, নাজিরশাল ৬৫-৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাল ব্যবসায়ী মো. শাহিন হোসেন। তিনি জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে হিরা চিকন ও স্বর্ণার কেজি প্রতি ২ টাকা কমেছে। সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি ১৬০ টাকা, পাতাকপি ৭০-৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৬০-৭০ টাকা, উচ্ছে ১০০/১২০ টাকা, ঝিঙে ৭৫-৮০ টাকা, বরবটি ১৫০-১৬০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ টাকা, কচুরলতি ১০০ টাকা, কচুরমুখি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৭০ টাকা, ওল ৮০ টাকা, কুশি ৭৫-৮০ টাকা, বেগুন ১৪০-১৫০ টাকা, টমেটো ভারতীয় প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, দেশি টমেটো ২৪০ টাকা, জলপাই ১০০ টাকা, গাজার ১৮০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খুচরা সবজি বিক্রেতা রনি। মাছ বাজারে ১ কেজির ইলিশ ১৮-১৯’শ টাকা, ৪ পিসে ইলিশ ৭-৮’শ টাকা, ৫ পিসে কেজি ৬’শ টাকা, পারসে ৬’শ টাকা, শিং মাছ ৪’শ টাকা, কাতলা ৩’শ টাকা, পাতারী ৭’শ টাকা, ভোলা ৩’শ টাকা, রুই ৩৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ টাকা, পাবদা ৩০০ টাকা, গলদা ১ হাজার টাকা, বাগদা ৮’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। মাংস বাজারে গরুর মাংস ৬৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি ১৯০ টাকা, কক প্রতি কেজি ২৭০ টাকা, সোনালী ২৬০ টাকা ও দেশি মুরগী ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাদা খুচরা বাজারে লাল ডিম (বড়) প্রতি পিস ১৩টাকা ও সাদা ডিম বড় একই দরে বিক্রি হয়েছে।
খালিশপুর চিত্রালী কাঁচাবাজার ঃ নগরীর খালিশপুর চিত্রালী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৫ লিঃ বোতলজাত সয়াবিন তেল ৮১০-৮১৫ টাকা, ২ লিঃ সয়াবিন তেল ৩৩৪ টাকা, ১ লিঃ সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, মুসরী ডাল মোটা ১০৫-১১০টাকা , চিকন ১৩৫-১৪০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতিকেজি ১১০ টাকা, রসুন দেশি ২২০ টাকা, আলু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লিখন স্টোরের মালিক ব্যবসায়ী মাসুদ।
চাল বাজারে হিরা মোটা ৪৭ টাকা, স্বর্ণা মোটা ৪৮ টাকা, বালাম-২৮ ৬২ টাকা, বালাম চিকন মানভেদে ৬২-৬৬ টাকা, বাশমতি মানভেদে ৭০-৮৫ টাকা, নাজিরশাল ৬৮-৭২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাল ব্যবসায়ী নান্নু। সবজি বাজারে ভারতীয় টমেটো ২৮০ টাকা, দেশি টমেটো ২৪০ টাকা, কচুরমুখি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৭০ টাকা, পেপে ৪০ টাকা, কাকরোল ১০০ টাকা, লাউ ৬০-৭০টাকা, ঢেড়শ ৭৫-৮০ টাকা, কুশি ৮০ টাকা, পাতাকপি ৭০ টাকা, বেগুন ১২০-১৩০ টাকা, কাচাঝাল বরজ ৪৮০ টাকা, এলসি ঝাল ৪০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ বাজারে ১ কেজির ইলিশ ২ হাজার টাকা কেজি, ৮’শ গ্রামের ইলিশ ১৫’শ টাকা, ৪০০ গ্রামের ইলিশ ৮’শ টাকা, রুই ৪০০টাকা, কাতলা ৪০০ টাকা, চাষের কৈ ২০০ টাকা পাবদা ৩০০ টাকা, ভেটকি ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাংস বাজারে গরুর মাংস ৬৫০ টাকা, খাশির মাংস ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগী বাজারে ব্রয়লার ১৯০ টাকা, কক ২৬০ টাকা ও সোনালী ২৫০-২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ডিম সাদা বড় ১৩ টাকা এবং লাল বড় একই দামে বিক্রি হয়।
মিয়া বাজার ঃ নগরীর খাশিপুরস্থ মিয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেয়াজ ১১০ টাকা, রসুন দেশি ২২০ টাকা, আলু ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সবজি বাজারে লাউ মানভেদে ৫০-৬০ টাকা, উচ্ছে ৮০ টাকা, বেগুন ১২০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, কুশি ৮০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, লালশাক ৬৫ টাকা, পেপে ৪০ টাকা, কচুরমুখি ৬০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকা, ঢেড়শ ৮০ টাকা, কাচাঝাল এলসি ৩২০ টাকা, দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ বাজারে পারসে ৫০০ টাকা কেজি, টেংরা ৫০০ টাকা, ভোটা ছোট ২০০ টাকা, রুই মাঝারী ২৫০ টাকা, কাতলা মাঝারী ৩০০ টাকা, সিলভার বড় ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। মুরগী বাজারে ব্রয়লার ১৯০ টাকা, সোনালী ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুরগী ব্যবসায়ী বিপ্লব।
মুরগী বিক্রেতা নয়ন জানান, মুরগীর খাবার ও বাচ্চার দাম বেশি বলে জানিয়েছেন খামারীরা। গত ৮/১০ দিন আগে ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৭০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। বর্তমানে ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। পাইকারী কেনার পর স্টাফ বেতন, দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল বিবিধ খরচ আছে। সামান্য লাভে মুরগী বিক্রি করি। সে সময় যে দাম যাই, খরচ-খরচা বাদে সামান্য লাভ থাকে।
ডিম বিক্রেতা রহমান জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে ডিমের দাম একই আছে। সাদা ও লাল বড় ডিম খুচরা ১৩ টাকা পিস বিক্রি করছি। দেশে বন্যা পরিস্থিতির কারণে পোল্ট্রিখাত চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানিতে বহু ডিমের মুরগী মারা গেছে। যে কারণে চাহিদার তুলনায় ডিমের ঘাটতি রয়েছে। যে কারণে বর্তমানে ডিমের দাম কিছুটা বাড়তি।
খুচরা সবজি বিক্রেতা রনি জানান, বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ কম। ভারী বর্ষার কারণে সবজির দারুন ক্ষতি হয়েছে। ব্যপক পরিমানে ফসল নষ্ট হয়েছে। যে কারণে সবজির বাজার চড়া। সামনে শীতকাল। শীতের সবজি বাজারে আসা শুরু করলে দাম কমে যাবে।
আলু বিক্রেতা জাহিদ জানান, ৪/৫ দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে আলুর দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদেরই ৫২-৫৩ টাকায় পাইকারী কেনা লাগছে। এরপর খরচ তো আছেই। তিনি আরো জানান, কোল্ডস্ট্রোরেজ (সংরক্ষনগার)’র আলু ক্রমঃশই কমে আসছে। বর্তমানে চাহিদা হিসাবে আলুর সরবরাহ কম। সামনে নতুন আলু উঠলে আলুর দাম কমে যাবে বলে জানিয়েছেন এ ব্যবসায়ী।
চাল ব্যবসায়ী মোঃ মোস্তাক আহমেদ নান্নু জানান, আমি একজন খুচরা চাউল বিক্রেতা। পাইকারদের কাছ হতে চাল কিনে তারপর বিক্রি করি। আমি ক্ষুদ্র বিক্রেতা যে দামে কিনি, তা হতে কিছু লাভে বিক্রি করে থাকি।
নগরীর চিত্রালী বাজারে আসা ক্রেতা শাহিন জানান, বর্তমানে বাজারে কাচা সবজির গায়ে যেন আগুন লেগেছে। ৭০ টাকার নিচে কোনো সবজি নাই। যে লাল শাক ছিল ৩০ টাকা তা এখন ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ভারী বৃষ্টি হলে ফসল নষ্ট, খরা হলে ফসল নষ্ট ইত্যাদি। অজুহাতের শেষ নেই। নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানাচ্ছি।
রিক্সাচালক জাহিদ জানান, রিক্সা চালিয়ে সারাদিন কয়টা পাই। বাজারে ঢুকলে কি দিয়ে কি করবো, মাথা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সবজির গায়ে হাত দেওয়ার কায়দা নেই, এতো দাম। এরপর মাছ মাংশ তো থাকলেই। গরীবেরা বাচবে কি করে ।
এ ব্যাপারে সু-শাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সা: সম্পাদক এ্যাড. কুদরত- ই খুদা বলেন, সরকার এখনো সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রন আনতে পারেনি। এই সরকার মাত্র দুই মাস এসেছে, ১৫ বছর যারা সিন্ডিকেট করে রেখেছে তাদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে সরকারকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর খুলনা জেলার সহকারী-পরিচালক মোঃ ওয়ালিদ বিন হাবিব জানান, বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে বাজার তদারকির জন্য। সে অনুসারে আমরা আজ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ, চেইন তদারক ও পর্যালোচনার জন্য ব্যবসায়ী নের্তৃবৃন্দের সঙ্গে মত বিনিময় করেছি। ইতিমধ্যে আমরা বাজার তদারকির কাজ শুরু করেছি। ব্যবসায়ীদের মাল ক্রয়-বিক্রয়ের বাধ্যতামূলক পাকা রসিদ সংরক্ষণ ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে হবে। এজন্য তাদেরকে দুই দিনের সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।