কপিলমুনি প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির সভায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ

কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ কপিলমুনি প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটির প্রথমসভা সোমবার সকালে প্রেসক্লাব চত্বওে অনুষ্ঠিত হয়। আহবায়ক এসএমআব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য সচিব জিএম মোস্তাক আহমেদেও সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য যথাক্রমে শেখ আব্দুল গফুর, মুন্সি রেজাউল করিম মহাব্বত ওজিএম আসলাম হোসেন। সভায় আনিত তিনটি এজেন্ডার উপর বিষদ আলোচনাও বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ঐতিহ্যবাহী কপিলমুনি প্রেসক্লাবে কতিপয় স্থায়ী সদস্যেও গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকা-, হঠকারিতা এবং বহিরাগতদেও নিয়ে ক্লাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাশাপাশি ক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। নিন্দা জানানো হয় ক্লাবের স্থায়ী সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্যদেও সমর্থনকে পাশ কাটিয়ে গুটিকয়েক সদস্য নিয়ে গঠন করা ভুয়া, মনগঙাও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ওই অসার আহ্বায়ক কমিটিকে। যেটাক্লাবের সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র পরিপন্তী একটা হাস্য কর বিষয়। এছাঙা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলবি এনপি’ও একটি অঙ্গসংগঠনের একদলনেতা কর্মীদেও নিয়ে ক্লাবে মহঙা দিয়ে ক্লাবের কর্মরত প্রগতিশীল সাংবাদিকদেও ভীতি প্রদর্শনের অপকৌশলকে ধিক্কার জানানো হয়। অন্যদিকে নিজেদেও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এবং জনসম্মুখে হেয় করার অভিপ্রায়ে ক্লাবের তিনজন জ্যেষ্ঠ সদস্যকে কথিত বহিষ্কারের প্রচারচালানোর চরম ঔদ্ধত্যেও বিরুদ্ধে তীব্রনিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সভায় ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও সাবেক সভাপতি জিএম হেদায়েত আলী টুকু ও সাবেক সহ-সভাপতি মুন্সি রেজাউল করিম মহব্বতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গত ৬ সেপ্টেম্বও একদল বহিরাগত উশৃঙ্খল যুবকদেও নিয়ে এলাকায় বহুল আলোচিত পাইকগাছা উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ও প্রেসক্লাবের সদস্য আমিনুল ইসলাম বজলু তাদেও প্রতি চঙাও হয়ে ভীতি প্রদর্শন কওে পদত্যাগ পত্রে জোর কওে স্বাক্ষর কওে নেয়। এর একদিন পরগত ৭সেপ্টেম্বও ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দৈনিক ভোরের ডাক এর কপিলমুনি প্রতিনিধি মিলন কুমার দাশ ক্লাবের দাপ্তরিক কাজ করার সময় ক্লাবে প্রবেশ কওে আচমকা তাকে শারীরিকভাবে নিগৃহীত কওে ভয় ও বল প্রয়োগের মাধ্যমে তার কাছে থাকা ক্লাবের সকল চাবি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে ক্লাব থেকে বের কওে দেওয়া হয়। এসময় জীবনে ক্লাবে পা না দেয়ার জন্য তাকে শাসানো হয়। ঘটনার কয়েকদিন পরক্লাবের আলমারির চাবি দাবি কওে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে মিলন কুমারদাশ ও তার পরিবার সদা ভীতির মধ্যে রয়েছে। এদিকে এঘটনায় প্রেসক্লাবের শুভাকাঙ্খী, সুহৃদও স্থানীয় সুধীজনরা বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।