যশোরের পল্লীতে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ : মামলা

যশোর ব্যুরোঃ প্রতিবেশী দাদা সম্পর্কে লম্পট মিকাইল দফাদার প্রবাসীর স্ত্রী (১৯)কে প্রথমে জোর পূর্বক ধর্ষন পরে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষন করে। ধর্ষনের ফলে গর্ভবর্তী হওয়ার পর বিয়ে করার কথা বললে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর সম্প্রতি একটি নবজাবত ভুমিষ্ট হয়েছে। এ ঘটনায় কোতয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মিকাইল দফাদার যশোর সদর উপজেলার শাখারীগাতী পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত জহুর আলী দফাদারের ছেলে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুলিশ লম্পট মিকাইল দফাদারকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। প্রবাসীর স্ত্রী কোতয়ালি থানায় দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করেন,তার স্বামী আল আমিন অনুমান ১৪ মাস পূর্বে বিদেশ (লিবিয়ায়) কাজের জন্য যায়। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর গৃহবধূ তার ছেলেকে নিয়ে পিতার বাড়িতে বসবাস করছিল। উক্ত মিকাইল দফাদার প্রতিবেশী ও সম্পর্কে দাদা। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকে উক্ত লম্পট মিকাইল বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বাদী লম্পটের কথায় রাজী না হওয়ায় সে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দিয়ে ফুসলাতে থাকে। এক পর্যায় গত ৫ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ৮ টার সময় গৃহবধূর পিতা মাতা কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি হতে বের হয়ে যায়। সেই সুযোগে ওই দিন বেলা ১১ টার সময় উক্ত গৃহবধূর পিতার বাড়িতে গৃহবধূ তার রুমের মধ্যে শুয়ে থাকাকালীন উক্ত লম্পট রুমের মধ্যে ঢুকে ঘরের ছিটকানী দেয়। ঘরের মধ্যে ঢুকে গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে এবং ঘরের খাটের উপর ফেলে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এক পর্যায় পরনের কাপড় চোপড় খুলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। নিরুপায় হয়ে নিজেকে রক্ষা করার জন্য চিৎকার দিতে চাইলে আসামী গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে এবং বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। ঘটনার বিষয় গৃহবধূ মান-সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেনি। পরবর্তীতে লম্পট গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দিনের পর দিন বিভিন্ন স্থানে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায় গৃহবধূর গর্ভে সন্তান আসলে লম্পটকে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের কথা বলে। তখন লম্পট গৃহবধূকে বিয়ে করবেনা বলে জানিয়ে দেয়। গৃহবধূ ঘটনার বিস্তারিত তার মা বাবাকে জানালে। আসামীর ধর্ষনের ফলে গত ৩০অক্টোবর গৃহবধূর সন্তান ভূমিষ্ট হয়। বর্তমানে উক্ত সন্তানের বয়স ১২ দিন হয়েছে। ঘটনার বিষয় গৃহবধূর স্বামী জানার পর গৃহবধূকে ডিভোর্স দেয়। ঘটনার বিষয় স্থানীয় লোকজনকে জানিয়ে ও পারিবারিক ভাবে আলোচনা করে কোতয়ালি থানায় এসে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে মামলা করে। পুলিশ লম্পট মিকাইল দফাদারকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।