বটিয়াঘাটার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গণি বিশ^াসের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আসলাম হালদার এসব অভিযোগের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী পরাজিত হয়। অপর প্রার্থী ছিলেন আব্দুল গণি বিশ^াস, তিনিও বিপুল ভোটে পরাজিত হন। পরবর্তীতে এলাকায় গণি বিশ^াসের প্রাধান্য নষ্ট হওয়ায় এবং আমি তার অনৈতিক কর্মকান্ডে বাধা দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। তার ভয়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ সর্বদা শঙ্কিত থাকেন। অন্যের জমি জোরপূর্বক দখল করে চাষ, জোরপূর্বক ধান কেটে নেওয়া, তার বিপক্ষে কথা বললে মারপিট করা সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত এই গণি বিশ^াস। তিনি সকল অপকর্মের গড ফাদার হিসেবে নেপথ্যে থেকে কাজ করে চলেছেন। এই গণি বিশ^াস এত ধুরন্দর যে আমাকে যুবলীগ নেতা বানিয়ে পরিকল্পিত ভাবে সম্মাণ ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় এখন মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি বিভিন্ন জায়গায় আমার নামের আগে যুবলীগ নেতা লিখে চলেছেন। আওয়ামী সরকার আমলে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় আমার ইউনিয়নের স্বার্থে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কথা বলতে হয়েছে। সুচতুর গনি বিশ্বাস সে সব ছবি ব্যবহার করে আমাকে ব্লাকমেল করছে। আওয়ামী সরকার আমলে আমার বিরুদ্ধে ৫টি হয়রানিমূলক মামলা করা হয়। এই গণি বিশ্বাস অপরাধমূলক সকল প্রকার কাজে পারদর্শী। তিনি একাধিক হত্যা মামলার আসামী ছিলেন। হালিয়া গ্রামে পুষ্পক কির্তনীয়াকে প্রকাশ্য দিনের বেলা গুলি করে হত্যা করেন। যার জিআর নং ৪৩/৮৯ দায়রা জজ আদালতে মামলা নম্বর ৩৪/৯২ তারিখ ১৬/১২/৮৯। বটিয়াঘাটা থানার মামলা নং ৪। তিনি ডেউয়াতলা গ্রামের গোবিন্দ মহালদারকে হত্যা করেন যার জিআর নম্বর ৫০/৯০ দায়রা জজ আদালতে মামলা নম্বর ৩৮/৯৭। গঙ্গারামপুর গ্রামের ময়েজ উদ্দিনকে তিনি হত্যা করেন যার জিআর নং ৭৩/৮৪ তারিখ ২৫/০৭/৮৪। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ঘর পুড়িয়ে দেয়ার মামলা, জোরপূর্ব জমি দখলের প্রতিবাদে মামলা, জোর পূর্বক অন্যের জমিতে ধান রোপন করায় দ্রুত বিচার আদালতে মামলা (চলমান), কায়েমখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীর শেখের দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দ্রুত বিচার আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী গণি বিশ্বাসের কবল থেকে রক্ষা পেতে গঙ্গারামপুরের আড়াই শতাধিক মানুষ স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ে মার্চ পিটিশন করেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।