স্থানীয় সংবাদ

অবঃ প্রাপ্ত নৌ- কর্মকর্তার প্রতারণা ও মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার ঃ অবসর প্রাপ্ত নৌ- কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসুদের মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন এবং প্রশাসনকে কৌশলে নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুর ২টায় মায়ের পক্ষ থেকে ছোট ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন বড় ভাই মাসুদের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ গতকাল সকালে যে সংবাদ সম্মেলন করেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার মা হোসনেয়ারা বেগম আমার ভাই মাসুদকে ত্যাজ্য করতে চাই কারন সে একজন প্রতারক ও মিথ্যুক। আমার বাবার মৃত্যুর ৫ বছর পুর্বে কোন মিমাংশিত বিষয় ছিল না। আমাদের পরিবারের কেউ হোটেলের একক মালিকানা দাবি করেনি। সুতারাং ১ কোটি টাকা দাবি করার কোন প্রশ্নই আসে না। আমার লোভি ভাই আব্দুল্লাহ আল মাসুদ একাই হোটেলটি ভোগ দখল করার নিমিত্তে নানাবিধ অবৈধ উপায় অবলম্বন করতে থাকে। সে এককভাবে ভোগদখল করার কারনে আমার মায়ের পরামর্শক্রমে আমরা হোটেলটি বিক্রি করার চেষ্টা করি। কিন্তু আমরা যেন হোটেলটি বিক্রি করতে না পারি সে জন্য সে সময় ক্ষেপনের জন্য আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করে। প্রথমে আমি ও আমার বাবা এম.এ কুদ্দুস যৌথ নামে বেসিক ব্যাংক থেকে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ব্যাংক থেকে লোন নেন। সেই টাকায় বিল্ডিং কম্পিলিট হয়নি। তারপর আইডিএলসি ফিনান্স থেকে টেক অভার লোন নেওয়া হয়। তাতেও বিল্ডিং কম্পিলিট হয়নি। অতপর ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে সর্বশেষ লোন নেওয়া হয় এবং বিল্ডিং কম্পিলিট করা হয়। ২০২০ সাল থেকে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ যেহেতু এককভাবে বিল্ডিংটি ভোগ দখল করছে। সেহেতু ১৫ই জুলাই আমি ট্রেড লাইসেন্সটি বাতিল করার জন্য সিটি কর্পোরেশনে আবেদন করি। ২৫ শে জুলাই সিআরও কেসিসির অফিসে শুনানীর দিন মিনারা নাজমিন এবং নুরুল করিম ভূইয়াসহ আমি উপস্থিত ছিলাম। প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর সামনে সে আমার মায়ের সামনে আমার বোন ও তার স্বামীকেসহ মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং বলে যে, তাকে হোটেল থেকে কেহ নামাতে গেলে বলে আমি তাকে মেরে ফেলব ইত্যাদি। ঐদিন সে প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে একটি সমঝোতা চুক্তি প্রদান করে যেটি আনরেজিষ্ট্রীকৃত (ফটোকপি) দলিল। কর্মকর্তা তাকে বলে আপনার সমঝোতা চুক্তিতে কোন টাইম প্রিরিয়ড নাই এবং এটি গ্রহণযোগ নহে। মূল দলিল প্রদর্শন করে নাই এবং সিটি কর্পোরেশনের রেভিনিউ অফিসার মূল দলিল চেয়েছিল কিন্তু সে মূল দলিল দেখাতে ব্যর্থ হয়। তিনি আরও জনান, অসুস্থ থাকার কারনে আমার পরামর্শক্রমে আমার মা ৩রা আগষ্ট উন্নত চিকিসার জন্য তার মেয়ের সাথে এ্যামেরিকায় চলে যাই। আমাদের আস্থা ভাজন শাহীরাজ নামে এক ভদ্র লোককে বিজ্ঞ আদালতের সামনে মামলা পরিচালনার জন্য পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি প্রদান করা হয়। আমাদের আইনজীবির নাম এস.এম তারিক মাহমুদ তারা। পাওয়ার অফ এ্যাটনি জজ সাহেবের সামনে গৃহিত হয়। সিটি কর্পোরেশন থেকে আমাদেরকে জানায় আমাদের সাথে কোন ডিড না হলে সে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না। শাহীরাজ কর্তৃক পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি আইনজীবি এস.এম তারিক মাহমুদ তারা দ্বারা গৃহীত হয়। আমাদের মামলা ফাইলিং আইনজীবি তারিক মাহমুদ তারা। এটি জজ সাহেবের আদেশের মধ্যে লেখা আছে। আমরা বিজ্ঞ আদালতে দাড়িয়ে আমাদের মামলার পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি জজ সাহেব কর্তৃক গ্রহণযোগ্য হওয়ার পর দেশ ত্যাগ করি। তার মায়ের পাসপোর্টে ইমিগ্রেশনের সিল আছে। আমার মা কখনোই জমির পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি কাউকে দেয়নি শুধু মামলা পরিচালনার জন্য শাহীরাজকে পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দিয়েছি আদালতের সম্মতিক্রমে। আদালতের আদেশ নামায় সেটি উল্লেখিত। ওয়ারিশ হিসেবে আমার মা কখনোই পুরা মালিকানা দাবি করেননাই। মূলত আমার লোভী ভাই আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এটি এককভাবে ভোগ দখল করার নিমিত্তে পরিস্থিতি ঘোলা করছে। সে আমাকে ও আমার বোনের স্বামীকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য এসব মিথ্যাচার করছে। আমার বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মাসুদ মৌখিকভাবে ৫লক্ষ টাকা ভাড়া দেওয়ার কথা থাকলেও সে অনুরোধ করে ৩ লক্ষ টাকা ভাড়া প্রদান করার কথা বলে। মাত্র কয়েকমাস ভাড়া দেয় তারপর থেকে আর ভাড়া দেয় না। আমাদের কাছে ব্যাংকের প্রমান আছে। আমার বাবার মৃত্যুর পর সে একেবারেই ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়।
তিনি আরও জানান, আমার মা দেশ ত্যাগের আগে এবং পরে আমার বড় ভাই তার কোন খোজ খবর নেয়নি। সে আমার মাকে মানসিক নির্যাতন করতো। এজন্য তিনি বাধ্য হয়ে কোর্টে মামলা করেছিলেন। বর্তমানে সেচ্ছায় আমার মা তার মেয়ের কাছে চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন। সময়মত এসে মামলা পরিচালনা করবেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, সে আমাকে আমার বোনকে ও বোন জামাইকে সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এবং হোটেলটি একভোগ দখল করার জন্য এই নোংরা মিথ্যাচার করছে। আমরা এর ন্যায্য বিচার চাই। আমার ৩ বছর আগে তালাক প্রাপ্তা স্ত্রীর সাথে যোগ সাজসে নানা জটিলতার সৃষ্টি করে মাসুদ। ১২ নভেম্বর তাকে দিয়ে আমার বাসায় আক্রমন করায়। মিথ্যা মামলা দেওয়ার নিমিত্তে। তার পর বাচ্চা লুকিয়ে রাখার নাটক সাজিয়ে ১৭ই নভেম্বর নিজের নৌবাহিনীর পরিচয় ব্যবহার করে প্রশাসনকে দিয়ে পিয়াস হোসেনকে বেধড়ক মারপিট করে সে। দারোয়ানকে তার নিজস্ব লোক দিয়ে মারপিট করে। পিয়াস হোসেন মূমুর্ষু অবস্থায় কাতরাতে থাকলে এলাকার লোকজন তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। পিয়াসের কাছ থেকে দুই ফ্লাটের চাবি কেড়ে নিয়ে তার লোকজন সহ দুই ফ্লাটে ঢুকে তল্লাশি করে। সেনা বাহিনীর লোক এটি সাজানো নাটক বুঝতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এই সুযোগে আমার বড় ভাই মাসুদ ও তার বর্তমান স্ত্রী পূর্ব পাশের ফ্লাটে দির্ঘ সময় অবস্থান করে। এবং সমস্ত জায়গা গুলা দলিল দস্তাবেজ তন্নতন্ন করে খুজতে থাকে। তার উদ্দেশ্যে ছিল দলিল দস্তাবেজ ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। অপরদিকে আমার সাবেক স্ত্রী পশ্চিম পাশের ফ্লাটে ঢুকে স্বর্ণালোঙ্কার, ক্যাশ টাকা, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্য, সকল ব্যাংকের চেক বই, নতুন এবং পুরাতন সব এটিএম কার্ড, ব্যবহারিত ভিসা যুক্ত পাসপোর্ট সহ আরো অনেক কিছু লুট করে। এঘটনায় আমরা থানায় এজাহার দায়ের করেছি। আমাদের কাছে বর্ণাকৃত সকল তথ্যের প্রমানাদি রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button