বহুল আলোচিত যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতারকৃত সেই মোসারফ হোসেন মোল্লার তিন দিনের রিমান্ড

# ভারতীয় নাগরিকের নামে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন কার্ড জালিয়াতকারী #
চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ঃ বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বহুল আলোচিত যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতারকৃত সেই মোসারফ হোসেন মোল্লার তিন দিনের রিমান্ড মঙ্গলবার (০৭ জানয়ারী, ২০২৫) মঞ্জুর করেছেন বাগেরহাট আদালতের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ওসমান গনি। তিনি জেল গেটে বসে মোসারফ হোসেন মোল্লাকে তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন। বাদীর পক্ষ হতে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল বলে জানা যায়। অভিযোগে জানা যায়, ভারতীয় নাগরিকের নামে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন কার্ড করে প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি দলিল করে নেয় মোসারফ হোসেন মোল্লার নেতৃত্বাধীন প্রভাবশালী একটি চক্র। এই জালিয়াতীর তথ্য প্রথম ফাঁস করে দেয় ঢাকা হতে আসা যমুনা টেলিভিশনের অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা। যমুনা টিভির অনুসন্ধানী ৩৬০ ডিগ্রীর প্রায় আধাঘন্টা ব্যাপি প্রতিবেদনে উঠে আসে, ভারতীয় নাগরিক ফনিভূষন মন্ডল ওরফে মনি মন্ডল নামক এক ব্যক্তির নামে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন কার্ড করে প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তির দলিল করে নেয় মোসারফ হোসেন মোল্লা ও তার ক্ষমতাধর সঙ্গীরা। এই বিষয়ে ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল যমুনা টিভি ‘‘এনআইডি আর কত গলদ ’’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ ও প্রচার করলে এলাকায় সাড়া পড়ে যায়। জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ সহ নানা পদক্ষেপ নেয় ভুক্তভোগীরা। কিন্তু ক্ষমতাধর চক্রের বিরুদ্ধে তখন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে ভুক্তভোগীরা জানান। অবশেষে গত ২৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চিতলমারী সদরের আড়ুয়াবর্নী গ্রামের মৃত নওয়াব আলী মোল্লার পুত্র মোসারফ হোসেন মোল্লাকে (৫৮) যৌথ বাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। চিতলমারী সরকারি মহিলা কলেজের সামনের বাড়িতে অভিযানকালে তার স্ত্রী পেয়ারা সুলতানা পালিয়ে যান। এই বিষয়ে চিতলমারী বড়গুনী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ২৯ ডিসেম্বর দায়েরকৃত মামলা নং-০৭।
চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সাহাদাত হোসেন জানান, সিরাজুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় মোসারফ হোসেন মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. বাপ্পি বড়াল ও এড. প্রতাপ মন্ডল।