স্থানীয় সংবাদ

শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মী মানে সমাজকর্মী ও মূল্যবোধ সমৃদ্ধ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কর্মী

# আড়ংঘাটা থানা কর্মী সম্মেলন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ #

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের আড়ংঘাটা থানার কর্মী সম্মেলন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর কাজকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আদর্শিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই। তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠন শক্তিশালী করতে হলে নেতৃবৃন্দকে পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে হবে। তৃণমূল সংগঠন শক্তিশালী হলে জাতীয় সংগঠন মজবুত কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে যাবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকের ভূমিকা ছাড়া পূথিবীর কোনো দেশে বিপ্লব হয়নি। গত ৫ আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানেও সারাদেশে অসংখ্য শ্রমিক শহীদ হয়েছে। দেশ সংস্কারের সাথে আমরা ঘুণে ধরা দেশের শ্রমিক অঙ্গনকে সাজাতে চাই। নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন হলে সমাজে শান্তি ফিরে আসবে। শ্রমিকরা তাদের নায্য অধিকার পাবে। নেতবৃন্দ কুরআনের পতাকাতলে সকল শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। সোমবার খুলনা মহানগরী আড়ংঘাটা বাজারে আড়ংঘাটা থানা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মী সম্মেলনে নেতৃবন্দ এ সব কথা বলেন।
থানা সভাপতি আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহিনুল ইসলাম এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যকারি পরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক শ্রমিক নেতা খান গোলাম রসুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের খুলনা মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফরাজী। এতে বক্তৃতা করেন মহানগরী সহ-সভাপতি কাজী মাহফুজুর রহমান, মহানগরী দপ্তর সম্পাদক আল হাফিজ সোহাগ, দৌলতপুর জুট প্রেস এন্ড বেলিং এর সভাপতি আব্দুল খালেক হাওলাদার, রিকসা ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মু. আশরাফ হোসেন, দৌলতপুর থানা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি দবির উদ্দিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম, থানার উপদেষ্টা ফিরোজ আহম্মেদ তুহিন, অধ্যাপক ইমাম মুহিত, শ্রমিক নেতা মিজানুর রহমান মজনু, ইউসুফ আলী ফারাজী, কামাল হোসেন, আওলিয়া শেখ, ইউনুস শেখ, মুস্তাজুল ইসলাম, মিনা আমিরুল, তরিকুল ইসলাম, রাজু আহমেদ, মু. প্রিন্স ও আব্দুল খালেক সহ নেতৃবৃন্দ।
শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আপনারা প্রতিটি গ্রামে, পাড়া-মহল্লায়, ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিবেন। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মী মানে সমাজকর্মী এবং মূল্যবোধ সমৃদ্ধ মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কর্মী। মানবতার চরম অবক্ষয়ের এই ক্রান্তিলগ্নে আপনাদেরকে এর জিম্মাদারী নিতে হবে। দিশেহারা, পথহারা, সুদ-ঘুষ, অন্যায়-অত্যাচারে নিষ্পেষিত এই জাতিকে আলোকবর্তিকা দেখানোর জন্য শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কর্মীদের মশাল হাতে এগিয়ে আসতে হবে। দেড় হাজার বছর আগে হেরার গুহা থেকে যে আলোকবর্তিকা বিশ্ববাসীকে আলোকিত করার জন্য প্রজ্জ্বলিত হয়েছে আমরা ৫৫ হাজার বর্গমাইলের এই জমিনে সেই কুরআনের মশাল প্রজ্জ্বলিত করতে চাই।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button