জাতীয় সংবাদ

ছিল না আগুন নেভানোর ব্যবস্থা : ফায়ার সার্ভিস

খুলনার জুট মিলে অগ্নিকা-

প্রবাহ রিপোর্ট : খুলনার রূপসা উপজেলার জাবুসা চৌরাস্তা সংলগ্ন সালাম জুট মিলস এর পাট গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে প্রায় শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট ও নৌবাহিনীর দুটি ইউনিটের প্রচেষ্টায় প্রায় ৮ ঘণ্টা পর গত বুধবার দিবাগত রাত দেড়টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে গত বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে জাবুসা চৌরাস্তা মোড় এলাকায় অবস্থিত সালাম জুটমিলের ৩ নম্বর গুদামে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হয়। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (খুলনা) ফারুক হোসেন শিকদার সাংবাদিকদের বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে খুলনার বয়রা, রূপসা ও বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা থেকে ১৬টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। এর সঙ্গে নৌবাহিনীর দুটি ইউনিট, স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর জন্য কাজ করেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ডাম্পিং কাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু পাটের গুদামে আগুন লেগেছে, তাই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক সময় লেগেছে। সামনে ও পেছনে দুটি গুদাম রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না। এদিকে আগুনে পুড়ে যাওয়া খুলনার সালাম জুট মিলের গোডাউনে অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (খুলনা) ফারুক হোসেন শিকদার বলেন, প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। পাটকলের সামনে ও পেছনে দুটি গুদাম রক্ষা সম্ভব হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না। জুট মিলের মালিক এম এম এ সালাম বলেন, আগুনে প্রায় ৭৫০ টন রপ্তানি উপযোগী পাটজাত পণ্য, প্রায় ৩৫ হাজার মণ কাঁচা পাট এবং মিলের যন্ত্রপাতি পুড়ে গেছে। সব মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সে তার ৫০ কোটি টাকার ইন্স্যুরেন্স করা ছিল। এলাকাবাসী জানায়, বিকেলে সালাম জুট মিলের ৩ নম্বর গুদামে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা পাশের দুটি গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় গুদামে কর্মরত শ্রমিকরা আত্মরক্ষার্থে গুদাম থেকে বের হয়ে আসেন। প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বশির আহম্মেদ জানান, ৩ নম্বর গুদামে অবস্থিত একটি মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শট সার্কিট থেকে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হয়। অল্প সময়ের মধ্যে ১ ও ২ নম্বর গুদামেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। জুট মিলের স্বত্বাধিকারী এম এম এ সালামের দাবি জুট মিলের ৩টি গুদামে ৭৫০ টন উৎপাদিত পণ্য ছিল, যার আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ১ হাজার ৩০০ টন কাঁচাপাট ছিল, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২০ কোটি। এ ছাড়া যন্ত্রপাতিসহ আরও অনেক পণ্য গুদামে। আগুনে সবমিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৩ সালে সালাম জুট মিল চালু হয়। এখানে মূলত পাটের সুতা উৎপাদন করা হতো। প্রথমে মিলটির ৩ নম্বর গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে অন্য গুদামে ছড়িয়ে পড়ে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button