জাল টাকার খপ্পরে জন সাধারণ! আইন প্রয়োগ করুন
জাল টাকা! যার মাধ্যমে মধ্যবৃত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত সকল পর্যায়ের মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। সাধারণত অধিকাংশ মানুষ জাল নোট চিনেন না বা বোঝেন না। এতে করে প্রতারণা চক্র আসল টাকা কৌশলে নিয়ে নকল টাকায় জড়িয়ে দেয় ভুক্তভোগীদের। যার ফলে নিজের আসল টাকা তো হারাচ্ছেন পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় লাঞ্ছিতও হচ্ছেন। পত্রপত্রিকায় থেকে জানা যায়, রাজধানীসহ সারা দেশে নতুন কৌশলে সক্রিয় হয়েছে জাল নোটের চক্র। আসন্ন কোরবানির ঈদকে টার্গেট করে তারা ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের পাশাপাশি ২০ ও ৫০ টাকার জাল নোটও ছড়িয়ে দিচ্ছে। চক্রগুলো ১ লাখ জাল নোট বিক্রি করছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায়। আর ছড়িয়ে পড়া এসব জাল নোটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতা ছাড়াও হাসপাতালের রোগীর স্বজনরাও। তাদের মাঝে দেখা দিচ্ছে এক ধরনের আতঙ্ক। চক্রটি বিগত ১০ বছর থেকে জাল টাকা তৈরি করে আসছে। কিন্তু কখনো আইনের আওতায় আসতে হয়নি তাঁদের। সম্প্রতি চক্রটির একজন সদস্যকে জাল টাকাসহ গ্রেফতার করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার থেকে সকল তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এরপর জাল নোট তৈরির সকল সরঞ্জাম পুলিশ জব্দ করেন। এখন প্রশ্ন থাকতেই পারে যে একটি দেশে ১০ থেকে ১২ বছর এমন অবৈধ কাজ চলে কীভাবে? এদের বিরুদ্ধে আরো আগে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কেনো? একবার ভেবে দেখলেই বুজা যায় ১০ বছরে কত হাজার হাজার মানুষ এই চক্রের ফাঁদে পড়েছে। কত মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে কেঁদেছে। বর্তমানে দেশ দারিদ্রতায় ভুগছে আর এই দারিদ্রতার মাঝেও প্রতারণা চক্রের খপ্পরে পড়তে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। এতে করে দরিদ্ররা আরো বেশি দরিদ্রতায় বিমোচিত হচ্ছে। উক্ত সমস্যাটি একটি জটিল সমস্যা এটি নির্মূলে প্রশাসনিক ভাবে কঠোর আইন প্রয়োগ করাটা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ যেন সহজেই জাল টাকা চিহ্নিত করতে পারে এমন কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হোক। এছাড়াও জাল টাকা উৎপাদনকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হোক, যাতে অন্যরা জাল টাকা বানাতে সাহস না করে। আমরা আশা করি সরকার উক্ত বিষয়ে সচেতন হবেন এবং সাধারণ মানুষের মাঝে ভোগান্তি দূর করবেন।