দখলমুক্ত সড়ক ও ফুটপাত গড়–ন

সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকারের পদত্যাগ হয়। সরকারের পদত্যাগে সহিংসতার ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতা থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুলিশ কর্মকর্তারা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। প্রায় এক সপ্তাহের মতো দেশে পুলিশের সকল কার্যক্রম বন্ধ ছিল। যার ফলে দেশে বিভিন্ন অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। সারা দেশে লুটপাট, ভাঙচুর, ডাকাতি এবং সংখ্যালঘুদের উপরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও ফুটপাত এবং সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করারও অভিযোগ উঠেছে। ফুটপাত এবং সড়কে হকারদের আধিপত্যে বিস্তারে এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যানজটের উপর বেশি প্রভাব পড়ছে। প্রাত্যহিক জীবনে যানজটের কারণে মানুষ সময়মতো গৌন্তব্য পৌঁছাতে পারছে না এবং সময় মতো কাজ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এর দায়ভার কে নিবে? পত্রপত্রিকায় থেকে জানা যায়, কুমিল্লার ফুটপাত এবং সড়ক দু’টোই দখলে নিয়েছে হকাররা। এতে পা ফেলার মতো জো নেই পথচারীদের। এমন চিত্র গড়ে উঠেছে নগরীর কান্দিরপাড়, নিউমার্কেট, নজরুল এভিনিউ, মনোহরপুর, রাজগঞ্জ ও লাকসাম রোড সড়কে। অভিযোগ রয়েছে, টাউনহল মাঠের সামনের ফুটপাথ। সেখানে খুচরা কাপড় ব্যবসায়ীরা ঝেঁকে বসেন। হকার ও ক্রেতাদের উপস্থিতিতে সেখানে ফুটপাথ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এই ফুটপাথে পথচারী চলাচল করতে পারছে না। কেউ নিচে সড়কের পাশ দিয়ে চলতে গেলে সেখানেও বাধা। বিভিন্ন পণ্য ভ্যানে নিয়ে বসেছেন কিছু হকার। এছাড়াও ফুটপাথের কিছু অংশে বসে শরবত বিক্রেতা। প্রায় একই অবস্থা নজরুল এভিনিউ ও রাজগঞ্জ এলাকায়। দেশে উন্নত রাস্তা করা হয়েছে যানবাহন চলাচলে যেন বিঘœতা না ঘটে এবং সড়কের পাশে ফুটপাত করা হয়েছে মানুষ হাঁটা-চলা করার জন্য। আর এই রাস্তা ও ফুটপাত এখন হকা দের দখলে। সড়ক এবং ফুটপাতে এমন বিশৃঙ্খলার কারণে মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। এতে পথচারীদের ভোগান্তির পরিমাণ ক্রমে বেড়েই চলছে। তাই এই সমস্যা সমাধানে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশ তাদের কর্মবিরতি শেষে চাকরিতে যোগ দিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশবাসী প্রশাসনের কাছে ইতিবাচক ফলাফল আশা করছে। কুমিল্লা নগরবাসীর ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সকল হকারদের রাস্তা এবং ফুটপাত থেকে সরিয়ে সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। এটাই সরকারের কাছে সবার প্রত্যাশা।