আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতির আওতায় প্রথম দফায় ৩৪ জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত হামাস

প্রবাহ ডেস্ক : গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ৩৪ জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত হামাস। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটির এক কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি রবিবার এ খবর জানিয়েছে। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী দলটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় প্রথম দফা বন্দি বিনিময়ে ৩৪ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হামাস কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এএফপি জানিয়েছে, প্রথম দফায় গাজায় আটক নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে জিম্মিদের অবস্থা যাচাইয়ে কিছু সময় প্রয়োজন হামাসের। ওই ব্যক্তি আরও দাবি করেছেন, জিম্মিদের আটকে রাখা ব্যক্তিদের সঙ্গে যথাযথ যোগাযোগের জন্য পরিস্থিতি এক সপ্তাহ শান্ত থাকা প্রয়োজন। তখন তারা যাচাই করতে পারবেন, জিম্মিদের মধ্যে কে জীবিত আছেন আর কে মারা গেছেন। ওদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক হামাস কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, চুক্তিটি চূড়ান্ত হওয়া নির্ভর করছে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে ইসরায়েলের সম্মত হওয়ার ওপর। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার বলেছেন, সম্ভাব্য জিম্মিদের মুক্তির তালিকা হামাসের পক্ষ থেকে এখনও তাদের হাতে এসে পৌঁছেনি। কাতারে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলাকালীন এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো। এই সমঝোতায় অন্যতম পক্ষ হিসেবে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের আগে এই চুক্তি চূড়ান্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন সোমবার বলেছেন, বাইডেন প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে চাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে কাজটি সম্পন্ন হতে আরও সময় লাগতে পারে। রাষ্ট্রীয় সফরে এখন দক্ষিণ কোরিয়াতে রয়েছেন ব্লিঙ্কেন। সেখানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, বাইডেন প্রশাসনের শেষ দুসপ্তাহের মধ্যে গাজা সংকটের অবসান দেখতে চাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। যদি সেটা সম্ভব নাও হয়, সামনে দ্রুততম সময়েই এর একটা সুরাহা হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button