আন্তর্জাতিক

গাজায় ধ্বংসস্তূপে নিখোঁজদের খুঁজে ফিরছে ফিলিস্তিনিরা

প্রবাহ ডেস্ক : যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় ফিরে গেছেন বাসিন্দারা। প্রায় পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বহু মানুষের খোঁজ নেই। ধারণা করা হচ্ছে, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে অনেকে। তাই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিন সোমবার গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজার হাজার গাজাবাসীর সন্ধান শুরু করেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৭,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রয়টার্স লিখেছে, গত রোববার শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির শর্তে হামাস তিনজন বন্দিকে মুক্তি দেয় এবং ইসরায়েল ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজা পুনর্গঠনে কয়েক দশক সময় লাগতে পারে এবং এ জন্য প্রয়োজন হবে কয়েক কোটি ডলার। ধ্বংসস্তূপ সরাতে ২১ বছর এবং ১.২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে, বেশিরভাগ এলাকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হলেও রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সোমবার সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে আটজন ইসরায়েলি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এদিকে ফিলিস্তিনি সিভিল ইমার্জেন্সি সার্ভিসেসের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল রয়টার্সকে বলেন, “আমরা ১০ হাজার শহীদের সন্ধান করছি, যাদের মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছে। কমপক্ষে ২৮৪০টি মরদেহ গলে গেছে এবং তাদের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।” তিনি বলেন, “এটি একটি বড় ধাক্কা ছিল। মানুষ হতবাক বনে গেছে। তাদের ঘরবাড়ি একেবারেই ধ্বংস হয়ে গেছে। দেখলে মনে হবে এই এলাকায় বড় ধরণের কোনও ভূমিকম্প বা কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এসে সব মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে গেছে।”২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এর পরই ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ইসরায়েলি পরিসংখ্যান অনুসারে হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৫০ জন জিম্মিকে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় প্রাণহানি ৪৭ হাজার ছাড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button