বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো খুলনা মহানগরী ফুলকুঁড়ি আসরের সুবর্ণজয়ন্তী
খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো খুলনা মহানগরী ফুলকুড়ি আসরের সূবর্ণজয়ন্তী। ‘পৃথিবীকে গড়তে হলে সবার আগে নিজকে গড়ো’ এই অনন্য শ্লোগানকে ধারণ করে জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন ‘ফুলকুঁড়ি আসর’ আসর ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। হাঁটি হাঁটি পা-পা করে ফুলকুঁড়ি আসরের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় খুলনা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ফুলকুঁড়ি আসর খুলনা মহানগরী শিশুকিশোর-অভিভাবক সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করে। ফুলকুঁড়ি আসর খুলনা মহানগরীর সাবেক সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান হেলালের সঞ্চালনায় এই সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. তবিবুর রহমান। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন ফুলকুঁড়ি আসর খুলনা মহানগরীর পরিচালক ইমরান হোসেন। ফুলকুঁড়ি আসর খুলনা মহানগরী শাখার উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ফুলকুঁড়ি আসরের প্রধান পরিচালক ও বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ফুলকুঁড়ি আসর খুলনা মহানগরীর সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মো. হায়দার আলী বিশ্বাস ও এডভোকেট শেখ অলিউল ইসলাম এবং কোষাধ্যক্ষ ডা. এহসানুল কবীর। খুলনা বিভাগ থেকে আগত প্রায় পাঁচশত শিশুকিশোর, অভিভাবক ও শুভাকঙ্খী নিয়ে নানা আয়োজনে উৎসব মুখর ছিল এই সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ফুলকুঁড়ি আসর খুলনা মহানগরী কর্তৃক আয়োজিত মাইন্ড ম্যারাথন প্রতিযোগিতা, বৃক্ষরোপণ প্রতিযোগিতা, ৫০ টিসি প্রতিযোগিতা, সুবর্ণজয়ন্তী আন্ত:স্কুল বিতর্ক উৎসব, ফুলকুঁড়ি প্রিমিয়ার লীগ, রচনা প্রতিযোগিতা সহ ভিন্ন ভিন্ন ৬টি প্রতিযোগিতায় ৩৩৩টি পুরস্কার প্রদান করা হয়। গান, কবিতা, আবৃত্তি, থিম সং, নাটিকা সহ বিভিন্ন আয়োজনে মুখরিত এ উৎসব শেষ হয় ফুলকুঁড়ি সংগীতের মাধ্যমে। উৎসবে আগত অতিথিরা ফুলকুঁড়ি আসরের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে নিজেদের সৎ, নির্মোহ, নৈতিক, মানবিক ও সাম্য সামাজিক ন্যায় কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন এবং ফুলকুঁড়ি আসর খুলনা মহানগরীর উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন। উল্লেখ্য, ফুলকুঁড়ি আসর একটি জাতীয় শিশুকিশোর সংগঠন। যেটি ১৯৭৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়ে সারাদেশব্যাপী শিশুকিশোরদের মেধা বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে (যার নিবন্ধন নং ঢ-০৪৫৯)। শিশুকিশোরদের নির্মল চরিত্র, সুন্দর মন আর সুস্থ দেহের অধিকারী সুনাগরিক এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পাঁচটি বিভাগের অধীনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।