দৌলতপুর ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন কাল
# ৩টি পদে ভোট যুদ্ধে লড়ছেন ১০ প্রার্থী
এম রুহুল আমিন : জমে উঠেছে দৌলতপুর থানাধীন ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। আগামীকাল (২৮ অক্টোবর) বিকেল তিনটা মধ্যডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ অনুষ্ঠিত হবে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। মাঠ পর্যায়ে চায়ের দোকানে ও বিভিন্ন আড্ডায় বিএনপির সম্মেলন নিয়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। ৩টি পদের প্রার্থীরা দিন রাত কাউন্সিলদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। মাঠ পর্যায়ে যাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, ত্যাগী, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা জেল জুলুম এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন বলে কাউন্সিলরা মাঠে কাজ করছেন। তবে যারা যোগ্য এবং আগামী দিনে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে পারবেন তাদেরকে নির্বাচিত করবেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সম্মেলনে ৩১জন কাউন্সিলর (ভোটার) তাদের ভোটার অধিকার প্রয়োগ করবেন। এই কাউন্সিলরদের ভোটেই নির্বাচিত হবেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনটি পদে ১০জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সভাপতি পদে রয়েছেন ৪জন প্রার্থী যথাক্রমে মোঃ আব্দুল ওহাব, মোঃ পারভেজ ইসলাম, শেখ হাসান শহীদ সালাউদ্দিন, মোঃ হুমায়ুন কবির। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, চারজন, যথাক্রমে সিরাজুল ইসলাম সনি, রাকিবুল ইসলাম মিঠু, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন কাফি ও মোঃ বিপ্লব। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দুইজন প্রার্থী যথাক্রমে শেখ মনিরুজ্জামান লিটন ও মোঃ মুরাদ হোসেন।
সভাপতি প্রার্থী মোঃ আব্দুল ওহাব বলেন, আমি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মাঠে ময়দানে সক্রিয় ছিলাম। আমি দলের জন্য জেল খেটেছি। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আমাকে চায় তারা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন বলে আমি আশাবাদী।
অপর সভাপতি প্রার্থী মোঃ পারভেজ ইসলাম বলেন, আমি দুঃশাসন, মাদক, সন্ত্রাস, জুয়া ও চাঁদাবাজি নির্মূল করে সুন্দর সমাজ গঠন করতে চাই। যারা মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতা কর্মী রয়েছেন তাদেরকে সুসংগঠিত করে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করে সুন্দর দেশ গঠনে কাজ করব। যেহেতু আমি দুঃসময় বিএনপির কান্ডারী হয়ে মাঠের কাজ করেছি তাই সকলে আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবেন।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রাকিবুল ইসলাম মিঠু বলেন, আমি দলের জন্য কারা বরণ করেছি, মামলা খেয়েছি আমার বিশ্বাস মাঠ পর্যায়ের ত্যাগী নেতৃবৃন্দ আমাকে সমর্থন করবেন। সম্মেলনে আমাকে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করবেন বলে আমি সকলের কাছে দোয়া কামনা করি। অপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সনি বলেন, আমি সন্ত্রাস, মাদক,জুয়া ও চাঁদাবাজ মুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করতে চাই। এ সমাজে যেন কোন বৈষম্য না থাকে সেজন্য সকলের সাথে মিলেমিশে ম্যাডাম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার দিকনির্দেশনা মোতাবেক কাজ করে আমি দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমি দলের জন্য বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাতটি মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা আমাকে ভোট দিয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবেন।
সম্মেলন উপলক্ষে আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক এলেম হাওলাদার জানান, দুঃসময় যারা হামলা মামলার শিকার হয়েছেন, ঝুঁকি নিয়ে মশাল মিছিল লিফলেট বিতরণসহ যারা মাঠে ছিলেন দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে জয়যুক্ত করবে বলে আমি আশাবাদী।
আহবায়ক কমিটির সদস্য ও শ্রমিক নেতা তালুকদার এনায়েত হোসেন বলেন, সব শ্রেণীর পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে খুলনা মহানগরীর তিন নং ওয়ার্ড বিএনপিতে আগামীতে যারা দায়িত্বে আসবে তারা যেন যোগ্য নেতৃত্বের অধিকারী হয়। ভালো মানুষ ও যোগ্য নেতৃত্ব দেখে নেতা নির্বাচন করা উচিত।
সম্মেলনে খুলনা মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও দৌলতপুর থানা বিএনপি’র সদস্য সচিব শেখ ইমাম হোসেন বলেন, বিএনপি’র মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা সুদৃর করতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতা নির্বাচিত হবে। এখানে তাদেরকেই কাউন্সিলররা ভোট দেবেন যারা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের আমলে রাজপথে ছিলেন, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, সদালাপি ও জেল খেটেছেন এমন ত্যাগী নেতাদেরকেই কাউন্সিলররা ভোট দিয়ে আগামী দিনের নেতৃত্বকে শক্তিশালী করবেন ।