স্থানীয় সংবাদ

খেজুর গাছ তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে গাছিরা

শেখ ফেরদৌস রহমান : গেল কয়েক বছরের তুলনায় এবছর গাছির সংকট রয়েছে। তবে, যেসব গাছি এখনও খেজুর গাছ হতে রস সংরক্ষণের কাজ করেন তারা এখনও ব্যাস্ত সময় পার করছেন খেজুর রস আহরণের জন্য এখনও অধিকাংশ খেজুর গাছগুলো তোলা হচ্ছেনা। মূলতঃ গাছি নেই তারপরও গ্রাম বাংলার সকল মানুষের পছন্দের শীতকালিন খেজুর রসের তৈরি পিঠা আর এই নেশায় মানুষ শীতে বিভিন্ন পিঠাকুলি বানিয়ে খেতে পছন্দ করেন। এছাড়া গেল কয়েক বছর যাবৎ গাছি না থাকায় খেজুর রস খেতে পারছেনা এমন মানুষের অভাব নেই। এ বিষয়ে খালিশপুর গোয়ালখালী এলাকায় গাছি মোঃ আব্বাস আলী বলেন, এবছর অনেক মানুষ ডাকছেন যে তাদের খেজুর গাছটি তোলার জন্য তবে আমি সবার মন রক্ষা করতে পারছিনা। আগে আমার বাবা এই গাছির কাজটা করত তার হাত ধরে মূলত আমার হাতে খড়ি। এখন আমি নিজেই খেজুর গাছ তোলার কাজ বকরছি। একটি গাছ তোলার বাবদ খরচ নেয়া হয় ২৫০ টাকা। পাশাপাশি যে গাছটি তোলা হবে এ পালা রস মালিক পাবে আবার অন্য পালার রস আমি নিব এই ভাবে ধারাবাহিক ভাবে আমরা রস বিনিময় করছি। এবছর আমার টার্গেট আছে মিলিয়ে শতাধিক গাছ তোলার জন্য তবে এখন পযন্ত মাত্র ৩৩টি গাছ তুলতে পেরেছি। আমার এগুলো নিয়মিত করতে সময়র সাথে পারা যায়না। এছাড়া এখন থেকে ক্রেতারা রসের জন্য সিরিয়াল দিচ্ছে। এবছর প্রতি ঠিলা ৩০০ টাকা থেকে প্রকার ভেদে ৪০০ টাকা আছে ঠিলার সাইজ অনুযায়ী দাম নির্ধাারণ করা হয়। এ বিষয়ে কথা স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ কামরুল আহসান এর সাথে তিনি বলেন, শীতের সময়ে খেজুর রসের পিঠা আর খেজুর রস জ¦াল দিয়ে পাটালি গুড় খেতে একটি অন্য রকম ঘ্রাণ পাওয়া যায় আর স্বাদের কথা কি বলব? তবে এখন যেখানে সেখানে খেজুর গাছ দেখা যায় তবে, এসব গাছ তোলার গাছি তেমনটি পাওয়া যায়না। দেখবেন রাস্তার পাশে বাড়ীর বাগানে খেজুর গাছ আছে তবে গাছি না থাকায় এসব গাছের মাথাগুলো জঙ্গল তৈরি হয়ে লতাপাতা দেখা যায়। আমি বলব প্রতি বছর সরকারী ভাবে কৃষি অধিদপ্তর কতৃক এসব খেজুর গাছ হতে রস সংরক্ষণ সহ রসের তৈরি পাটালি বা ঝোল গুড় তৈরি করে ব্যাপক অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। এভাবে চলতে থাকলে এসব সময়ে অস্তিÍ সংকটে পড়তে পারে খেজুর গাছ আর রস।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button