আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক অভিযানে নিহত ১৬

প্রবাহ ডেস্ক : পাকিস্তানের পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশে পৃথক অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর অন্তত ১৬ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার এই অভিযানে অংশ নেয় পুলিশ, কাউন্টার-টেরোরিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) এবং নিরাপত্তা বাহিনী। পাঞ্জাব পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মিয়ানওয়ালি জেলার মাকারওয়াল এলাকায় পুলিশ ও সিটিডির যৌথ অভিযানে অন্তত ১০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং আরো কয়েকজন আহত হয়েছে। এরপরই ওয়াজিরিস্তানে দুটি আলাদা ইন্টেলিজেন্স-ভিত্তিক অভিযানে আরো ছয়জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। মিয়ানওয়ালি পুলিশ জানায়, কারাক জেলার লাগোয়া মুল্লাখেল পার্বত্য এলাকায় ২০-৩০ জন সন্ত্রাসীর উপস্থিতির খবর পেয়ে দুই দিন আগে অভিযান শুরু করা হয়। জেলা পুলিশ অফিসার (ডিপিও) আখতার ফারুক এবং সারগোধা রেঞ্জের পুলিশ অফিসার (আরপিও) শাহজাদ আসিফ খানের নেতৃত্বে পুলিশ, সিটিডি ও রেঞ্জার্স ঘিরে ফেললে গোলাগুলো শুরু হয়। পাঞ্জাব পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, অভিযানে অন্তত ১০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে এবং আরো কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর আছে। এসময় একজন স্থানীয় ব্যক্তি আহত হয়েছেন, তবে পুলিশ ও সিটিডির কেউ হতাহত হননি। অভিযানের পর মিয়ানওয়ালি ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুরো এলাকায় সন্ত্রাসীদের নেটওয়ার্ক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. উসমান আনোয়ার এবং মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ মাকারওয়ালে ১০ জন সন্ত্রাসী হত্যার সফলতার জন্য পুলিশ ও সিটিডিকে অভিনন্দন জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি একে ‘সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘পাঞ্জাব পুলিশ ও সিটিডি প্রমাণ করেছে তারা পেশাদার ও সাহসী। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিজয় দেশের দীর্ঘমেয়াদি শান্তি রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
ওয়াজিরিস্তানে সেনা অভিযান
আইএসপিআর-এর বিবৃতিতে জানানো হয়, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের রাযমাক এলাকায় এক অভিযানে পাঁচজন খারিজ (টিটিপি জঙ্গি) নিহত হয় এবং দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে আরেক অভিযানে জঙ্গি নেতাকে হত্যা করা হয়।
নিহত জঙ্গি নেতা জাবি উল্লাহ ওরফে জাকরান বহু সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং নিরীহ নাগরিক হত্যার দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল। আইএসপিআর জানিয়েছে, ওইসব এলাকায় সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালানো হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নিরাপত্তা বাহিনীর এই সাফল্যের জন্য তাদের প্রশংসা করেছেন এবং দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেন, পুরো জাতি নিরাপত্তা বাহিনীর পাশে আছে। সূত্র : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবউন

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button