টাইগার ব্যাটাররা জ¦লে উঠবেন: সুজন
স্পোর্টস ডেস্ক : নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দল রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ৮ ও ১০ জুন দুটি ম্যাচ খেলে টাইগার বাহিনীকে যেতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সেখানে ১৩ ও ১৭ জুন প্রথম পর্বের আরও দুটি ম্যাচ খেলবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। কিন্তু সেই ম্যাচগুলো খেলার আগেই তোপের মুখে পড়েছে টিম টাইগার। মূলত যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ ও ভারতের বিপক্ষে শোচনীয় হারের পরই আলোচনা-সমালোচনা বেশি হচ্ছে। আবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে থাকা দলগুলোও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলায় শান্তদের ব্যর্থতা নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ থেকেই জ¦লে উঠবে। গত বুধবার মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুজন বলেছেন, ‘নিউ ইয়র্কের উইকেট দেখে ভয়ই পেলাম। আর ডালাসের উইকেট আমাদের সহায়তা করবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট আমাদের পক্ষে থাকারই কথা। কিন্তু দিনশেষে আমাদের ভালো খেলতে হবে। ব্যাটারদের দক্ষতা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে, আমি এটার সঙ্গে একমত না। খারাপ সময় যায়, ছেলেরা খারাপ খেলছে, সেটি আমরা বুঝতে পেরেছি। তারা যে কেউ পরিশ্রম কম করছে, এমন কিছুই না। কঠোর পরিশ্রম করছে, রান করার চেষ্টা করছে। আমার বিশ্বাস টুর্নামেন্টে তারা জ¦লে উঠবে। টপ অর্ডারের সৌম্য, লিটন, শান্তর কথা খুব বেশি হচ্ছে। তিন জনই আমাদের দারুণ ব্যাটার। সফল খেলোয়াড়, হয়তো রান হচ্ছে না। আশা করি হবে এবং বাংলাদেশও ঘুরে দাঁড়াবে প্রথম ম্যাচ থেকেই।’ সুজন আরও বলেছেন, ‘দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ খেলবে, সেটিও আমি বিশ্বাস করি। আমরা সেরা ক্রিকেট এখনো খেলিনি। আমাদের উচিত সেরা ক্রিকেটটা খেলা। এখন আমরা ভালো খেলছি না, সেটি আমিও মানছি। কিন্তু আমরা এমন দল না। এর থেকেও অনেক শক্তিশালী দল।’ দলের ব্যর্থতা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে যারা গেছে, তারা বেশির ভাগ ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে গেছে। ওখানে গিয়ে পারছে না কেন, এটা আমার মনে হয় না দক্ষতার সমস্যা। দক্ষতার আমি কোনো সমস্যাই দেখি না, আমার মনে হয় মানসিক সমস্যা, চিন্তার সমস্যা। আমরা সব সময় বলি, এই ফরম্যাটে যদি ভয়-ডরহীন ক্রিকেট না খেলা যায়, তাহলে হবেই না। ভয়-ডরহীন খেললে সাফল্য আসবে, নাহলে সেটি খুব কঠিন।’ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে বিসিবির এই পরিচালক বলেছেন, ‘রিয়াদ আসলে চাপে খেলতেই খুব পছন্দ করে। সে সারা জীবন চাপে থাকাকালীন ক্রিকেট খেলে এসেছে। বয়স যে কোনো বাধা না, সেটি সে আবারও প্রমাণ করেছে। তার ফিটনেস যদি দেখি কিংবা যে পরিমাণ কঠোর পরিশ্রম করেছে, এটা অবিশ্বাস্য। সে সিনিয়র খেলোয়াড়। শুধু তার রান করা নয়, খেলার প্রতি তার নিবেদনসহ সবকিছু থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। তরুণ ক্রিকেটাররা তার থেকে শিখতে পারে। রিয়াদ তার ফরম ধরে রাখবে এবং এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করবে।’