সুপার এইটের পথে এগিয়ে বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক : টেলিভিশনের পর্যায় তখন বারবার দেখাচ্ছে, দুই দলের ইনিংস বিচারে এগিয়ে নেদারল্যান্ডস। ১৬০ রান তাড়ায় ১৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৪ রান তুলে ফেলে ডাচরা। যেখানে বাংলাদেশ তুলেছেন ৪ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান। গত বৃহস্পতিবার ম্যাচের এমন পরিস্থিতিতে নেদারল্যান্ডসের প্রয়োজন পড়ে ৩৬ বলে ৫৬ রান। জয়ের পাল্লা যখন প্রতিপক্ষের দিকে ঝুলে, তখন ইনিংসের ১৫তম ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনার পরে আরো এক উইকেট নেন। রিশাদের এমন বোলিংয়ের সুবিধা অন্যপ্রান্ত থেকে আদায় করেন নেন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দুই ওভারে ৮ রান দেওয়া উইকেটশূন্য থাকা এই বাঁহাতি স্পিনার পরের দুই ওভারে ৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। এতে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানে থামে নেদারল্যান্ডস। ২৫ রানের জয়ে সুপার এইটের পথে আরো এগোল বাংলাদেশ। ‘ডি’ গ্রুপ থেকে আগেই সুপার এইট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচে দুই জয়ে চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থান শক্ত হলো বাংলাদেশের। ডাচদের আর নেপালের সম্ভাবনা যদি-কিন্তুর মারপ্যাঁচে টিকে থাকলেও বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার। কিংসটাউনের আর্নস ভেল গ্রাউন্ড দেশের বাইরে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ দল। গত বৃহস্পতিবার স্মৃতিবিজড়িত সে মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৫৯ রান তোলে বাংলাদেশ। আবার ব্যর্থ টপ অর্ডার। আগের দুই ম্যাচে ১ ও ৯ রান করা ওপেনিং জুটি এদিন ভাঙে ৩ রানে। অফ স্পিনার আরিয়ান দত্তকে নিজের উইকেট উপহার দেন ১ রান করা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। লিটন দাসও ফেরেন ১ রান করে। ২৩ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৩২ বলে ৪৮ রানের জুটি করে দলকে টনে তোলেন তানজিদ হাসান ও সাকিব আল হাসান। তানজিদ আউট হলে ভাঙে এই জুটি। তাওহিদ হৃদয় কাল খোলস ছাড়ার আগেই ফিরে যান। পরে মাহমুদ উল্লাহর (২১ বলে ২৫) সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়ার পথে অর্ধশতক তুলে নেন সাকিব। এই সংস্করণে ২০ ইনিংস পর পঞ্চাশ রানের গ-ি টপকালেন তিনি। এই সংস্করণের নিজের ১৩তম ফিফটি পূর্ণ করা সাকিব ৩৮ বলে অপরাজিত থাকেন ৬৪ রানে। ৪৬ বলের ইনিংসে ছয় না থাকলেও চার ছিল ৯টি। এরপর বোলিংয়ের শুরুতে চমক দেখায় বাংলাদেশ। ২৭ ম্যাচ পর প্রথম ওভার করতে আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। তবে এই পেসার উইকেটের দেখা না পেলেও দারুণ বোলিং করেন। যদিও শুরুতে ভয় ধরিয়ে দেন নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররা। ৩২ রানে দুই ওপেনার ফিরলেও তৃতীয় উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়েন বিক্রমজিত সিং (২৬) ও সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট। ইনিংসের ১০ ওভারে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ানো এই জুটি ভাঙেন মাহমুদ উল্লাহ। আবার বড় জুটি ডাচদের। এবার এঙ্গেলব্রেখটের (৩৩) সঙ্গী অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। এরপরই দৃশ্যপটে রিশাদ। জোড়া আঘাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের পক্ষে নেন এই লেগি। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। তার সঙ্গে তাল মেলান মুস্তাফিজ ও তাসকিন আহমেদ। এতে শেষ দিকে এসে জয়ের কাজ সহজ হয়ে যায় নাজমুলদের। এই জয়ে সুপার এইটের পথে আরো এগোল বাংলাদেশ।