বড় হারের পর যা বললেন শান্ত
![](https://dailyprobaha.com.bd/wp-content/uploads/2023/12/santo-1.webp)
স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথম তিন ওভারে মাত্র ৮ রান। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ৩ বল খেলে আউট হয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। লিটন দাস স্বস্তিতে ছিলেন না যতক্ষণ টিকেছিলেন। আউট হওয়ার আগে ২৫ বল খেলেও রান করেছেন ১৬। প্রথম রানের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১০ বল। বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচের মতো এদিনও ওপেনিং জুটি দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি। অথচ গ্রুপ পর্বে ৪ ম্যাচের তিনটিতেই জিতে আত্মবিশ্বাসীদের তুঙ্গে থেকেই সুপার এইটে পা রেখেছিল বাংলাদেশ। আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামার আগে ব্যাটসম্যানদের ওপর তেমন কোনো চাপও ছিল না। তবু ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে পারছেন না কেন? ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক নাজমুলকে প্রশ্নটা করা হলে তিনি জানান, এর উত্তর তার জানা নেই, ‘কেন পারছি না, সেটা বলা মুশকিল। আমার কাছে মনে হয়, দলের সবার বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য আছে। অতীতে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় করেও দেখিয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপে কেন হচ্ছে না, এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছেও নেই। সবাইকে তার স্বাভাবিক খেলাটা খেলার স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই হচ্ছে না।’ বাংলাদেশ যে ধরনের পিচ খেলে থাকে, নিউইয়র্ক আর সেন্ট ভিনসেন্টে নিজেদের আগের ৩ ম্যাচের পিচ ছিল অনেকটা সেই রকম। সেন্ট ভিনসেন্টে টানা ২ ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়ায় সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গেও দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছিল দল। কিন্তু অ্যান্টিগার পিচ ব্যাটিং সহায়ক। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ম্যাচের আগে অ্যান্টিগায় আরেকটি ম্যাচ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। নামিবিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচটি তারা জিতেছে আরও দাপট দেখিয়ে, ৯ উইকেট আর ৮৬ বল হাতে রেখে! অ্যান্টিগার পিচ ও কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে না পারার কারণেই কি হেরে গেল বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়ার এক সাংবাদিকের এই প্রশ্নে নাজমুলের উত্তর, ‘না, আমি তেমনটা মনে করি না। পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের সব ধরনের উইকেটেই মানিয়ে নিতে হবে। উইকেট বেশ ভালো ছিল। কিন্তু আমরা পরিকল্পনামাফিক খেলতে পারিনি। বিশেষ করে নতুন বলে পাওয়ারপ্লেতে ভালো করতে পারিনি। শেষ ৫-৬ ওভারে ফিনিশিংও ভালো হয়নি। এ সময় আমরা অনেক উইকেট হারিয়েছি। শেষটা ভালো করতে পারলে ১৬০ থেকে ১৭০ রান হতে পারত।’ এই বিশ্বকাপ শেষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে যাওয়ার পরিকল্পনা বয়স ৩৮ ছুঁই ছুঁই ডেভিড ওয়ার্নারের। এখনো বিস্ফোরক ইনিংস উপহার দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আজকের ম্যাচেও ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৫ বলে অপরাজিত ছিলেন ৫৩ রানে। ওয়ার্নারের মতো বড় মাপের খেলোয়াড়কে থামাতে বাংলাদেশের বিশেষ কোনো পরিকল্পনা ছিল কি না-এ ব্যাপারে নাজমুলের উত্তর, ‘আমরা জানি তিনি কী করতে পারেন। ১৫-১৬ বছর ধরে তিনি সেটাই দেখিয়ে চলেছেন। বড় মাপের খেলোয়াড়দের সঙ্গে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা শিখতে হবে। কিন্তু যে কথা আগেও বললাম, আজ আমাদের পরিকল্পনাগুলো সফল হয়নি।’